প্রতীকী ছবি।
দেশের রাজধানী হওয়ার আগে কেমন ছিল দিল্লি! ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহের আগুন ব্যারাকপুর, কানপুর হয়ে কী ভাবে ছড়িয়েছিল!
দিল্লি সরকারের হেফাজতে থাকা প্রায় দু’শো বছর আগেকার ওই সব নথি এ বার ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দিল্লি সরকার জানিয়েছে, তাদের মহাফেজখানায় প্রায় দশ কোটি পাতার নথি রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি পাতাকে সংরক্ষিত করা হবে। তাতে ১৮০৩ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ইতিহাস সংরক্ষিত হবে। এতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই বছর। খরচ হবে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা। আজ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া।
সরকারি সূত্রের খবর, এই সব নথির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল সিপাহি বিদ্রোহের নথি। কানপুর হয়ে দিল্লিতে আছড়ে পড়েছিল মহাবিদ্রোহের ঢেউ। ব্রিটিশদের কাছে হেরে দেশান্তরী হতে হয় শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে। মণীশের কথায়, ‘‘সিপাহি বিদ্রোহ থেকে সম্রাটের বিচারের নথি, সবই সংরক্ষিত করা হচ্ছে।’’ একই সঙ্গে রেল, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ব্যবস্থার বিস্তার দিল্লি ও উত্তর ভারতে কী ভাবে হল, কী ভাবে সেজে উঠল নতুন দিল্লি, সেই নথিও সংরক্ষিত হচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে সিআইডির নথিও ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে রাখা হচ্ছে।