Election Commission

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু দেশে, বাড়তি সুবিধা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে এক সঙ্গে ভোট হলেও, বিধানসভার ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচন হয়। আর এই কারণে কমিশনের পুরনো নিয়মে অসন্তুষ্ট অনেক নতুন ভোটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৩
Share:

ভোটার তালিকায় নাম তোলা এবং ভোটার কার্ড সংশোধনে নতুন নিয়ম আনল নির্বাচন কমিশন। —ফাইল ছবি।

ভোটার তালিকায় নাম তোলা এবং ভোটার কার্ড (এপিক) সংশোধনে নতুন নিয়ম আনল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এ বার থেকে দেশ জুড়ে বছরে ৪ বার নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগে বছরে এক বার প্রকাশ করা হত। কমিশন জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে ভোটার তালিকা প্রকাশে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে তিন মাস অন্তর। এই সময়ের মধ্যে এপিকের তথ্যও পরিবর্তন করতে পারবেন ভোটাররা। এমনকি, মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমেও সংশোধন করা যাবে।

Advertisement

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। আগামী বছরও ওই দিনে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে শুধু ১ জানুয়ারি নয়, আরও তিন দিন এই কাজ করবে কমিশন। তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে সারা দেশে ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটারদের সচেতনতার ফলে এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে কমিশন। কারণ, পুরনো নিয়মে অসন্তোষ জানিয়ে প্রচুর অভিযোগ কমিশনের কাছে এসেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা এবং ভাবনাচিন্তার পর ৯০ দিন পর পর ভোটার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধরন কমিশনের ভাবনায় পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছে। কমিশনের নির্ধারিত ভোটার তালিকা মেনে সব রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়। লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে এক সঙ্গে ভোট হলেও, বিধানসভার ক্ষেত্রে তা হয় না। প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচন হয়। আর এই কারণে কমিশনের পুরনো নিয়মে অসন্তুষ্ট অনেক নতুন ভোটার। ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, সংশ্লিষ্ট বছরের ১ জানুয়ারি তারিখে ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির জন্ম তারিখ ১২ ডিসেম্বর এবং সেই দিনে ১৮ বছর বয়স হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন। আর এই নিয়ম মেনে কারও জন্ম ২ জানুয়ারি হলে পরের বছর ১ জানুয়ারি অবধি তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে ওই ব্যক্তির আবেদন গ্রহণ হলেও এপিক পাবেন না। ফলে এই সময়ের কোনও নির্বাচন হলে ওই ব্যক্তি ভোট দিতে পারবেন না। প্রথম ভোট দিতে পরবর্তী ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এ নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন অনেকে।

Advertisement

যে হেতু নতুন তালিকা প্রকাশ হবে, তাই এই সময়ে ভোটার কার্ড সংশোধনও করা যাবে। কমিশন জানাচ্ছে, নতুন ভোটার সংযুক্তিকরণের সঙ্গে সংশোধনও করা যাবে। তথ্য পরিবর্তন করা যাবে কমিশনের নিজস্ব অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়েও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন