হাসপাতালে আনা হয়েছে এক জওয়ানকে। ছবি: এএনআই-এর টুইটার হ্যান্ডল থেকে নেওয়া
দন্তেওয়াড়ার নিলওয়া গ্রামে হামলার তিন দিন পর বিবৃতি দিয়ে মাওবাদীরা জানাল, সাংবাদিক হত্যা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের নিশানা ছিল পুলিশের দলটি। কিন্তু তাদের সঙ্গে থাকায় দূরদর্শনের ওই ক্যামেরাম্যান অচ্যুতানন্দন সাউয়ের মৃত্যু হয়। জখম হন দূরদর্শনের দলটির আরও দু’জন সাংবাদিক। তাই ভোটকর্মী ও সাংবাদিকদের প্রতি মাওবাদীদের আবেদন, তাঁরা যেন পুলিশ বা আধাসেনার সঙ্গে না আসেন।
মাওবাদীদের যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে ছত্তীসগঢ় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উভয়েরই বক্তব্য, হাতে ক্যামেরা দেখেও যে ভাবে দূর থেকে মাথায় নিশানা করে গুলি করা হয়েছে তাতেই স্পষ্ট, এটি পরিকল্পিত হত্যা। রাজ্যে ১২ তারিখ প্রথম দফার ভোট হবে মূলত মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায়। তার আগে ত্রাস ছড়াতেই কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত খবর করতে গিয়েছিল সাংবাদিক দলটি।
মাওবাদীরা চায় না রাস্তাঘাট ও অন্যান্য উন্নয়নের কথা মানুষ জানুক। তাই ওই হামলা।
বিবৃতিতে মাওবাদীদের দরবা ডিভিশনাল কমিটির সচিব সাইনাথের অবশ্য দাবি, ‘‘মোটরবাইকে এক পুলিশকর্মীর পিছনে বসে ছিলেন ওই ক্যামেরাম্যান। হামলার সময়ে তিনি যে সাংবাদিক তা ঠাহর করা যায়নি। অচ্যুতানন্দন আমাদের নিশানা ছিলেন না। সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নন, বরং বন্ধু। আমরা কখনওই তাদের উপর হামলা চালাই না।’’