'কাঠগড়ায়' হরিয়ানার বিজেপি সরকার
পঞ্চকুলাকে জ্বলতে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই। শনিবার এই ভাষাতেই হরিয়ানা সরকারকে আক্রমণ করল পঞ্জবা-হরিয়ানা হাইকোর্ট।
শুক্রবারই স্বঘোষিত বাবা রাম রহিম সিংহকে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত ধর্ষক হিসাবে দোষী ঘোষণা করে। তার পর থেকেই ‘বাবা’র ভক্তরা পঞ্জাব-হরিয়ানা, দুই রাজ্য জুড়ে তাণ্ডব চালায়। তাণ্ডবের আঁচ পড়ে রাজস্থান এবং দিল্লিতেও। ওই তাণ্ডবে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ২৫০ জন। এ দিন সেই সংক্রান্ত শুনানি ছিল হরিয়ানা হাইকোর্টে। সেখানেই আদালত কার্যত ভর্ত্সনা করে রাজ্য সরকারকে। জানিয়ে দেয়, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই পঞ্চকুলাকে জ্বলতে দেওয়া হয়েছে।’ ‘প্রশাসন তাণ্ডবকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’ এমনকী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বদলে প্রশাসন তা বাড়তে দিয়েছে বলেও এ দিন মন্তব্য করেছে আদালত।
আরও পড়ুন- রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাধ্বীর সেই চিঠি, পড়লে শিউরে উঠবেন
আরও পড়ুন- রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাধ্বীর সেই চিঠি, পড়লে শিউরে উঠবেন
আদালত এ দিন রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে। কেন, কয়েক লক্ষ ডেরা সচ্চা সৌদা অনুগামীকে শহরের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হল, উঠেছে সেই প্রশ্ন। আগে থেকেই যে হেতু বোঝা গিয়েছিল, ‘বাবা’কে দোষী ঘোষণা করলে গণ্ডগোল বাধতে পারে, তা হলে সেই মতো কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? বিরোধীরা প্রথম থেকেই এ সব প্রশ্ন তুলছিলেন। এ বার আদালত সেই একই প্রশ্ন তোলায় মনোহরলাল খট্টরের সরকার বিড়ম্বনায় পড়ে গেল।
আরও পড়ুন- রাম রহিম সিংহকে ‘প্রণাম’ জানিয়েছিলেন মোদীও!
মুখ্যমন্ত্রী খট্টর গত কালই চাপের মুখে জানিয়েছিলেন, প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। সেই গাফিলতিকে চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাতের দিকে খট্টরকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এমনটা হওয়া উচিত হয়নি।’’
অন্য দিকে, সিরসায় ডেরা সচ্চা সৌদার একাংশে ঢুকতে পেরেছে সেনা। ওই অংশটি ছোট ডেরা বলে পরিচিত। বড় ডেরার বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনা। আপাতত, নির্দেশের অপেক্ষায়। ভিতরে প্রায় এক লক্ষ ভক্ত রয়েছে বলে খবর। হাতিয়ারও আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন।