—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
হায়দরাবাদে ৫০ বছরের বধূকে খুন করে লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না, নগদ নিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্তেরা। যাওয়ার আগে ওই ফ্ল্যাটের শৌচালয়ে স্নান করে রক্তমাখা জামাকাপড়ও সেখানে ফেলে রেখেছিলেন। এ বার ঝাড়খণ্ড থেকে সেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন ওই বধূর ফ্ল্যাটে পরিচারকের কাজ করতেন। দ্বিতীয় জন পাশের বাড়িতে পরিচারক ছিলেন। তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে এসে জেরা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রেণু আগরওয়াল। সাইবারাবাদে একটি আবাসনের ১৩ তলার ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন। তিন দিন আগে ঘটনার সময় তাঁর স্বামী এবং পুত্র কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তাঁরা দরজায় ধাক্কা দিলেও কারও সাড়া পাননি। এর পরে বারান্দা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রেণুর দেহ।
ঘরের ভিতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিলেন রেণু। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরও জানায়, রেণুর মাথায় প্রেশার কুকার দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার পরে ছুরি এবং কাঁচি দিয়ে তাঁর গলা কেটে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, রেনুর ফ্ল্যাট থেকে ৪০ গ্রাম সোনা এবং এক লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে পালান অভিযুক্তেরা। পুলিশ জানিয়েছেন, পালানোর আগে দুই অভিযুক্ত রেণুর শৌচালয়ে স্নান করেন। তার পরে সেখানেই রক্তমাখা জামা ফেলে রেখে পরিষ্কার জামা পরে পালিয়ে যান। পালানোর সময় পাশের ফ্ল্যাটের পরিচারক তাঁর মালিকের দু’চারা নিয়ে যান। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিষয়টি। এর পরেই খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করে দু’জনকে। আগরওয়ালের বাড়িতে যিনি কাজ করতেন, সেই অভিযুক্ত পরিচারকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডেই। দিন দশেক আগে তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন রেণুর স্বামী।