এই পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৯০। পরিবারে রয়েছে ময়ূর, হরিণ, বাঘ, ভাল্লুক, কুমীর, হায়না—আরও কত কী। এত বড় পরিবার সামলাচ্ছেন প্রকাশ আমতে এবং তাঁর স্ত্রী মন্দাকিনী আমতে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই আমতে পরিবারের সম্পর্কে খুটিনাটি।
নাগপুর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রে এক প্রত্যন্ত গ্রাম হেমলকাসা-এ রয়েছে ‘আমতেজ অ্যানিমেল আর্ক’।
১৯৭৪ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ‘আমতেজ অ্যানিমেল আর্ক’-এর প্রতিষ্ঠা করেন।
৫০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে আমতেজ অ্যানিমেল আর্ক। এই আর্ক গত ৪৫ বছর ধরে প্রায় ৭০-৮০টি পশু-পাখিদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
পথ ভুলে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে আহত হওয়া চিতা, হায়না উদ্ধার করে, চিকিত্সায় সারিয়ে তুলেছেন তিনি। এমন অন্তত ১১টি চিতা (লেপার্ড) রয়েছে তাঁর ‘আমতেজ অ্যানিমেল আর্ক’-এ।
পশু-পাখিদের চিকিত্সার পাশাপাশি আজও দুঃস্থ মানুষের চিকিত্সাও করে চলেছেন প্রকাশ আমতে।
প্রকাশ আমতের বাবা, পদ্ম বিভূষণ বাবা আমতে ছিলেন একজন সমাজসেবী। গ্রামের দরিদ্র কুষ্ঠরোগীদের জন্য নিরন্তর সেবা করে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫০-এ তাদের জন্য আনন্দন নামে একটি সংস্থাও খোলেন তিনি।
২০০২-এ পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হন প্রকাশ আমতে। ২০১৪-এ সমাজসেবা মূলক কাজের জন্য পান মাদার টেরেসা অ্যাওয়ার্ডস ফর সোশাল জাস্টিশ।