তিন ভাইয়ের বাহাদুরি এবং বুদ্ধিমত্তার জোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। প্রাণে বাঁচলেন এক হাজারেরও বেশি যাত্রী।
ঠিক কী হয়েছিল?
রবিবার রাতে মোকামা স্টেশনের ঘটনা। লোকাল ট্রেন ধরার জন্য মোকামা স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন তিন ভাই। ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় প্ল্যাটফর্মেই পায়চারি করছিলেন তাঁরা। ওই সময়েই ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস সেখান দিয়ে পাস করার কথা ছিল। ট্রেন আসতে তখনও কয়েক মিনিট দেরি। ঠিক সেই মুহূর্তেই ওই তিন ভাইয়ের চোখে পড়ে লাইনের একটা জায়গায় প্রায় এক মিটারের অংশ ভাঙা। কাছেপিঠে তাঁরা কোনও রেলকর্মীকে খুঁজে পাননি যে এই খবরটা দেবেন। উপায়ন্তর না দেখে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। লাইনে নেমে অনবরত টর্চ জ্বালাতে-নেভাতে থাকেন। সঙ্গে থাকা লাল গামছাও ওড়াতে থাকেন তাঁরা। দূর থেকেই এই বিষয়টি দেখতে পান রাজধানীর চালক। সঙ্গে সঙ্গে আপত্কালীন ব্রেক কষে ট্রেনটিকে থামান। চালক নেমে এসে দেখেন, লাইনের একটা জায়গায় এক মিটারের মতো অংশ গায়েব। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রেলকর্মীরা ছুটে আসেন। মেরামত করা হয় লাইনের ভাঙা অংশটি। তিন ভাইয়ের বাহাদুরিতে খুশি রেলকর্মীরা। তাঁদেরই এক জন জানান, এঁরা সময়মতো লাইনের ভাঙা অংশটি না দেখলে বিশাল বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
প্রাথমিক তদন্তের পর রেল জানিয়েছে, কমলা-গঙ্গা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার পরই ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাইনটি। তবে, আসল কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে তারা।