স্নাতকোত্তর স্তরের সব পড়ুয়ার আধার কার্ডের তথ্য জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করল ‘টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস’ (টিস)। আধারের তথ্য না দিলে তাঁদের আর ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার পি মোহন কুমার। কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক পড়ুয়া কেন্দ্রের কাছ থেকে বৃত্তি পান। বৃত্তির টাকার উপরে নজরদারিও প্রয়োজন। সে জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করতে বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিভিন্ন শিবিরের। এমনকী এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে আসা পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য দেওয়াও বন্ধ করে দিচ্ছে টিস। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি িটস-কে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি করছেন টিস কর্তৃপক্ষ। তার ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সেই কারণেই তাঁরা আর্থিক সাহায্যে কাটছাঁট করছেন।
টিস-এর প্রাক্তনী ও মহারাষ্ট্রে এসএফআইয়ের নেতা শম্বুক উদয়ের মতে, এ ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা নরেন্দ্র মোদী সরকারের উচ্চবর্ণবাদী নীতিরই অংশ। পড়ুয়াদের আরও প্রশ্ন, টিস কর্তৃপক্ষ আধারের তথ্য বাধ্যতামূলক করার আগে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেননি কেন? একটি সংবাদপত্রের দাবি, টিসের প্রায় ৬৬ শতাংশ পড়ুয়া ওই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন।