Abhishek Singhvi as Rajya Sabha MP

কংগ্রেসকে ‘উপহার’ কৌশল! রাজ্যসভায় ফের মনু সিঙ্ঘভিকেই সমর্থনের ভাবনা তৃণমূল নেত্রী মমতার

সিঙ্ঘভি এআইসিসি সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদও বটে। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভায় যান। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১২
Share:

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিলে। তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ফের তাঁকেই ওই আসন থেকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে মনস্থ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আগামী ১৯ তারিখের বিরোধী জোটের বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা শুরু হবে ‘ইন্ডিয়া’র দলগুলির মধ্যে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ড স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি দলের (কংগ্রেস, তৃণমূল ও বাম) কোনও জোট হচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজ তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘কংগ্রেস একেবারেই ঠিক বলছে। তিনটি দলের মধ্যে কোনও জোট হচ্ছে না। অর্থাৎ আমরা কোনও আসন সিপিএমের জন্য ছাড়ব না। তবে সমঝোতা হবে কংগ্রেসের সঙ্গে।’

কী সেই সমঝোতা? কতগুলি আসন কংগ্রসকে দিতে পারে বঙ্গের শাসকদল? তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, ‘আমাদের সূত্র হল এর আগের বিধানসভা, লোকসভা এবং বিধানসভা ও লোকসভা — এই তিনটির গড় ধরে হিসাব করা হবে। তাতে দেখা যাচ্ছে মালদহ দক্ষিণ (আবু হাসেম খান চৌধুরী) এবং বহরমপুর (অধীররঞ্জন চৌধুরী)— এই দুটি আসন কংগ্রসকে ছাড়তে সম্মত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থাৎ আসন রফায় এটিই জানানো হবে, ওই দুই আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী দাঁড়াবেন না। কিন্তু এর বেশি আসন বাংলায় কংগ্রেসকে দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

সূত্রের খবর, এরই সঙ্গে কংগ্রেসকে জানানো হবে, দু’টি লোকসভা আসনের পাশাপাশি আর একটি রাজ্যসভার আসনও কংগ্রেসকে ছাড়তে তৈরি তৃণমূল। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, এটি স্বাভাবিক ভাবেই সিঙ্ঘভিকে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে মমতার। সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে নিয়মিত সওয়াল করেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতা। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলাতেও সওয়াল করেছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক।

সিঙ্ঘভি এআইসিসি সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদও বটে। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভায় যান। প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সাংসদ হলেও, এ রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে সময় দেওয়া তো দূরের কথা, ন্যূনতম কাজেও তাঁকে পাওয়া যায় না। বরং পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তেই বেশি আগ্রহী তিনি।

এই পরিস্থিতিতে সিঙ্ঘভিকে সমর্থন দেওয়াটা অপ্রত্যাশিত নয় তৃণমূলের পক্ষে। কিন্তু আসন রফার ময়দানে দর কষাকষির লড়াইয়ে রাজ্যসভার এই আসনটিকে কংগ্রেসের জন্য ‘উপহার’ হিসাবে দেখানোটা তৃণমূলের কৌশলের মধ্যে পড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন