প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা—সব নির্বাচনেই বরাকে প্রার্থী দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট এলেই গঠন করা হয় নানা স্তরের কমিটি। কিন্তু ভোটের পর আর তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া ভার। কেউ কেউ ভোটের পর রাজ্যের শক্তিশালী দলগুলিতে নাম লেখান।
অসমে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বাঙালি অধ্যুষিত বরাকে ফের শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি গঠন। হাইলাকান্দি জেলা থেকেই শুরু হয়েছে এবারের প্রাক্-নির্বাচনী প্রক্রিয়া। তবে এ বারেএ পুরনো কারও দেখা নেই। নতুনরা জোট বাঁধছেন। সভাপতি হয়েছেন শফিক কামাল বড়লস্কর, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ বড়ভুইয়া। তাঁদের দাবি, ‘‘দিদির ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেব আমরা।’’
কিন্তু ভোটের পর কী হবে? তাঁদের দাবি, আগে যাই হোক না কেন, তাঁরা দল ছাড়বেন না। তা যদি হয়, তবে বরাকে নজির গড়বে তৃণমূল। ২০০১ সালে বদরপুর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন জামালউদ্দিন আহমেদ। জেলার পরেই দলে ছাড়েন। বিধানসভায় তাঁর পরিচয় ছিল কংগ্রেসের ‘অ্যাসোসিয়েট মেম্বর’। ২০০৬ সালে ফের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়ে পরাস্ত হন। ২০১১ থেকে অবশ্য আজও তিনি কংগ্রেসেরই বিধায়ক।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বরাকের ১৫ আসনের প্রায় সব ক’টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল। শিলচরে ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি গুপ্ত। অনেকদিন আগেই তিনি আবার কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। কাটিগড়ার কুমারজিৎ দেব, রাতাবাড়ির অমরেশ রায় এখন বিজেপি নেতা। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনও। বাকি প্রার্থীরাও হয় অন্য দলে, নয়তো বসে গিয়েছেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে শিলচর আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ওয়াজিদ রেজা চৌধুরীর প্রচারে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভোটে শোচনীয় হারের পর সেই প্রার্থীকে তৃণমূলে বা শিলচরে, কোথাও দেখা যায়নি।