TMC

কংগ্রেস ও বাম দলগুলির ডাকা ভারত বন্‌ধের বিরোধিতায় তৃণমূল

আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের হরতালকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে চাপে রাখার পাশাপাশি দেশের বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে চাইছে কংগ্রেস। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু, তৃণমূলের এই অবস্থান সেই ঐক্যের লক্ষ্যে একটা ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:১৯
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস ও বামদলগুলির ডাকা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের ভারত বন্‌ধের বিরোধিতা করার কথা ঘোষণা করল তৃণমূল। দলের তরফে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে জনবিরোধী নীতিগুলির প্রতিবাদে বন্‌ধ ডাকা হয়েছে, তা সমর্থন করলেও বন্‌ধের রাস্তায় হাঁটতে নারাজ তাঁরা। কারণ, ঘোষিত ভাবেই তৃণমূল বন্‌ধবিরোধী। তাই সোমবার রাজ্যবাসীর কাছে রাস্তা ও দোকানপাট খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

বন্‌ধের বিরোধিতা করলেও আগামী সোমবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করবে তৃণমূল। দুপুরে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছে উত্তর কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও ব্লকেও প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন দলীয় কর্মী ও সমর্থকেরা। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।

পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক কমানোর পাশাপাশি পেট্রলকে জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে তারা। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে জেরবার দেশের কৃষক সমাজও, এই অভিযোগে কংগ্রেসের পাশাপাশি বন্‌ধ ডেকেছে সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল)-সহ দেশের বামদলগুলিও।

Advertisement

আরও পড়ুন: লালকেল্লার কাছে ধৃত ২ আইএস জঙ্গি, দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার!

শুক্রবার কংগ্রেসের ডাকা ভারত বন্‌ধের পাশে দাঁড়িয়েছে ডিএমকে-ও। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন। তাঁর অভিযোগ, বিশ্ব জুড়ে অশোধিত তেলের দাম কমলেও সেই সুবিধা পাচ্ছেন না দেশের সাধারণ মানুষ। এ জন্য দায়ী মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতিই। পাশাপাশি ডলার প্রতি টাকার দাম লাগাতার পড়ে যাওয়ার জন্যও কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতিকেই দায়ী করেছে তারা। কোনও রাজ্যে নির্বাচনের আগে তেল সংস্থাগুলি কেন দাম বাড়ায় না, সেই প্রশ্নও তুলেছে ডিএমকে।

আরও পড়ুন: গণপিটুনি রুখতে কী ব্যবস্থা? রাজ্যগুলিকে সাত দিনে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের হরতালকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে চাপে রাখার পাশাপাশি দেশের বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে চাইছে কংগ্রেস। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু, তৃণমূলের এই অবস্থান সেই ঐক্যের লক্ষ্যে একটা ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement