রবিবার লখনউয়ের কাঁসিরাম স্মৃতি উপবনে শপথ নেবেন উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। এটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কে শপথ নেবেন, সেটা এখনও জানা যায়নি। দলের সভাপতি অমিত শাহ বলছেন, নামটি শনিবার খোলসা করবেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লিতে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে যে, মোদী সরকারের মন্ত্রী মনোজ সিনহাই এখন দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে। যদিও তিনি নিজে বলছেন, ‘‘কোনও দৌড়ে নেই।’’ মুখে বলছেন না, অমিত শাহও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ছে না। তবু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নীরব আশা ধরে রেখেছেন রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য। রাজনাথ সিংহও আজ রাত পর্যন্ত আশা ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে অমিতের রহস্য করা দেখে কালো ঘোড়া হিসাবে অনেকে স্বতন্ত্রদেব সিংহ, সতীশ মাহানা, সুরেশ খন্নার মতো নেতার নামকেও শেষ রাতে টিকিয়ে রাখছেন।
আজ উত্তরাখণ্ডে সঙ্ঘের প্রচারক রাজপুত নেতা ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কাল নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ যাচ্ছেন শপথ অনুষ্ঠানে। দলের অনেকের মত হল, উত্তরাখণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশেও এখন রাজনাথের মতো ঠাকুর নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না। রাজনাথকে ঘিরে একশো বিধায়কের দাবিদারিও প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করেনি। কাল বিকেল পাঁচটায় বেঙ্কাইয়া নায়ডু ও ভূপেন্দ্র যাদব— দলের দুই পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে বিধায়কদের বৈঠকেই জানানো হবে নাম। অন্য মন্ত্রীদের তালিকাও কাল ঠিক হবে।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র
তবে মোদী সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সব জাতির প্রতিনিধিত্ব থাকবে। প্রয়োজন হলে উপমুখ্যমন্ত্রীও বিবেচনা করা হতে পারে। কিন্তু জাতপাতের থেকেও মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ে আসল মাপকাঠি হল, এত বড় রাজ্যের প্রশাসন কে চালাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে জাতের অঙ্ককে অপ্রাসঙ্গিক করা যেতে পারে।’’ অমিতেরও দাবি, ‘‘জাতিবাদ, পরিবারবাদ ও তোষণের রাজনীতি আর চলবে না। এটি নতুন যুগ।’’