সাফাই: শুক্রবার দশাশ্বমেধ ঘাটে। —নিজস্ব চিত্র
দশাশ্বমেধ ঘাট এবং তার লাগোয়া গোটা চত্বরটা হোসপাইপ দিয়ে গঙ্গাজলে শুদ্ধ করা হচ্ছে। স্বচ্ছতার অভিযানে আনা হয়েছে টন টন গ্যামাক্সিন। কালভৈরব মন্দিরে গমগম করে চলছে পুজো। শনিবারই এসে পৌঁছচ্ছেন তিনি! পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ শহর— গঙ্গাপুত্র আসছেন। পাছে বুঝতে ভুল হয়, তাই সঙ্গে ব্যাখ্যা ‘গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম (দুই)’!
বারাণসীর শিব-ভক্তির কথা মাথায় রেখে মোদীর উপমায় এ বার চিরকুমার ভীষ্মের অবতারণা। ‘হর হর মোদী ঘর ঘর মোদী’র স্লোগান ব্যবহার করতে একদম নিষেধ করে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। মোদীকে শিবের অবতার হিসেবে প্রচার না করে গোধুলিয়ার কাছে বরং কালো পাথরের নন্দী বানানো হয়েছে, তাতে নতুন সোনার অলঙ্কার।
আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ে দলাই লামা, হুঁশিয়ারি চিনের
মোদী থাকবেন প্রচারের শেষ দিন, অর্থাৎ ৬ তারিখ পর্যন্ত। তাঁর ঘনিষ্ঠ মনোজ সিংহের এলাকা গাজিপুরে যাবেন। বারাণসীতেও ঘুরে ঘুরে প্রচার করবেন। তবে বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন কি না, সংশয় রয়েছে। কারণ তা হলে নিরাপত্তার কারণে রাস্তা বন্ধ করতে হবে। ভোটের আগে মানুষের ভোগান্তি চাইছে না দল। এমনিতেই আড়াই বছরে বারাণসীতে উন্নয়ন খুব হয়নি বলে অভিযোগ। রেল স্টেশন বন্ধ করে সংস্কার চলছে তো চলছেই। মোদীর দত্তক গ্রামের অবস্থাও তথৈবচ। ফলে প্রচারে হিতে বিপরীত যাতে না হয়, সেদিকে কড়া নজর।
খটকা একটাই। ভীষ্ম কৌরব পক্ষে লড়েছিলেন! কংগ্রেস তাই কটাক্ষ করছে, ভীষ্মের শরশয্যার দিনগুলি কেমন ছিল, তা যেন মাথায় রাখে বিজেপি!