গাঁধী পরিবার ছাড়া বৈঠকে কংগ্রেস

সামনের সপ্তাহেই ৪৯-এ পা দেবেন রাহুল। বছরের এই সময়টি সাধারণত ক’দিনের জন্য বিদেশে থাকেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাহুল গাঁধী দেশে নেই। সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা আজই ছিলেন রায়বেরলীতে। আর এ দিনই গাঁধী পরিবারকে বাদ দিয়ে দলের কৌশল স্থির করতে দিল্লিতে বৈঠকে বসলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফায় অনড় রাহুল ঠিক যেটি চাইছিলেন।

Advertisement

সামনের সপ্তাহেই ৪৯-এ পা দেবেন রাহুল। বছরের এই সময়টি সাধারণত ক’দিনের জন্য বিদেশে থাকেন তিনি। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে এ বারেও তিনি যে অন্য দেশে গিয়েছেন, তা অস্বীকার করেননি কংগ্রেসের নেতারা। কিন্তু ভোটের পর দলকে রাহুল সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে নতুন সভাপতি বাছুন। বিকল্প বিশেষ কোনও এক জনকে না পেয়ে কংগ্রেস এখন ‘যৌথ নেতৃত্ব’-এর বিকল্পের কথাই ভাবছে। আর সেই সূত্র ধরেই রাহুলের তৈরি করা পুরনো ‘কোর গ্রুপ’-এর সদস্যরাই আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের ‘ওয়ার-রুম’-এ প্রথম বৈঠকটি করলেন, যাতে রইলেন না গাঁধী পরিবারের কেউ।

এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বে এই বৈঠকে ছিলেন পি চিদম্বরম, গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, আহমেদ পটেল, আনন্দ শর্মা, কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ এবং রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পরে সুরজেওয়ালা জানান, ‘‘মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা বেণুগোপাল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক করবেন। সেখানে লোকসভার হারের পর্যালোচনা ও আসন্ন বিধানসভার কৌশল ঠিক হবে।’’

Advertisement

তার মানে কি রাহুল কিংবা তাঁর বদলে অন্য কোনও সভাপতিকে ছাড়াই দল চলবে? সুরজেওয়ালার ঘোষণা— ‘‘রাহুল গাঁধী সভাপতি ছিলেন, আছেন, থাকবেন!’’ রাহুল কি বিদেশে? উত্তর এড়ালেন দলের মুখপাত্র। এই ‘কোর-গ্রুপ’ই কি ভবিষ্যতে দলের হাল ধরবে? রণদীপের জবাব, ‘‘রাহুল গাঁধী যে কোর-গ্রুপ তৈরি করেছিলেন, সেটি ভোট পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ভোটের পরে কোর গ্রুপও নেই। অ্যান্টনির নেতৃত্বে আজ নেহাতই ঘরোয়া একটি বৈঠক হয়েছে।’’

তবে কংগ্রেস সূত্র বলছে, রাহুল-সনিয়া-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথা বলেই আজ তাঁদের বাদ দিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, বিজেপি যখন পরের ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে, কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই। আর গাঁধী পরিবারকে ছাড়াই দল চলতে পারে। তবে একই সঙ্গে সব নেতা রাহুলকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কোনও বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এখন না-হলেও কয়েক মাস পরে তাঁকেই দলের রাশ ধরতে হবে। তত দিন যৌথ নেতৃত্বে দল চলবে। আজ তার প্রথম মহড়া হল।

আর সংসদে নেতৃত্বের বিষয়টি দেখবেন সনিয়া। লোকসভায় দলের নেতা, মুখ্যসচেতক কে হবেন, তিনিই ঠিক করবেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন