প্রতীকী ছবি।
গরুর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় গো-পাচারকারীদের হাতেই আক্রান্ত হলেন এক দল পর্যটক। গত ১৪ জুলাই ওড়িশার রায়গড় জেলার ঘটনা।
ঠিক কী হয়েছিল?
আরও পড়ুন: রাখবে কারা মারবে কারা, আসলে না নকলে?
সাত জন পর্যটকের একটি দল ওড়িশায় ঘুরতে এসেছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে তিন জন হায়দরাবাদের এবং চার জন দিল্লির বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলাও ছিলেন। অভিযোগ, ওই দিন বিকেলে পর্যটনস্থল থেকে ফেরার সময় রায়গড়ের খেদাপাড়া গ্রামের কাছে পর্যটকরা লক্ষ্য করেন এক দল গো-পাচারকারী কয়েকটি গরুকে মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখেই প্রতিবাদ জানান ওই পর্যটক দলের সদস্যরা। তখনই তাঁদের দিকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে পাচারকারীরা। পর্যটক দলের পুরুষ সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে তারা। এমনকী মহিলা সদস্যদের শ্লীলতাহানি করা হয়ে বলেও অভিযোগ। পর্যটক দলের এক সদস্য হায়দরাবাদের রেড্ডি নগরের বাসিন্দা পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র কে ভেঙ্কটেশ্বরন কান্নান ডেকান ক্রনিকল-কে ফোনে বলেন, “দিল্লিতে আমার বন্ধু সুমন্তের সঙ্গে ওড়িশা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। সঙ্গে আমাদের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। ১৪ জুলাই বিকেল ৪টের সময় ঘটনাটি ঘটে। পাচারকারীরা গরুগুলোর পা বেঁধে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে বেদম পেটাচ্ছিল। প্রতিবাদ করাতেই আমাদের উপর হামলা চালায়।”
পুলিশের কাছে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে চান্ডিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভেঙ্কটেশ্বরনরা। বিষয়টি নিয়ে রায়গড়ের জেলাশাসকের দ্বারস্থও হন তাঁরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।