National News

যাওয়ার কথা ছিল মহারাষ্ট্র, ট্রেন চলে গেল মধ্যপ্রদেশে!

ঘুম ভাঙতেই, কোথায় কোটা? এ তো মধ্যপ্রদেশের বানমোর! বুধবার সকালে এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কৃষক। কৃষি ঋণ মুকুবের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হতে গত সোমবারই তাঁরা দিল্লি গিয়েছিলেন। ফিরছিলেন সেখান থেকেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:৫৪
Share:

রাজস্থানের কোটার বদলে মধ্যপ্রদেশের বানমোর স্টেশনে গিয়ে থামল ট্রেন।

যাত্রা শুরু করেছিল ঠিক সময়েই। দিল্লি থেকে রাজস্থানের কোটা হয়ে মহারাষ্ট্র যাওয়ার কথা। সারা রাত শেষে সকালেই গন্তব্যে পৌঁছবে ট্রেন। রাতের খাওয়া সেরে তাই নিজের নিজের আসনে নিশ্চিন্তেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা।

Advertisement

কিন্তু ঘুম ভাঙতেই, কোথায় কোটা? এ তো মধ্যপ্রদেশের বানমোর! বুধবার সকালে এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কৃষক। কৃষি ঋণ মুকুবের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হতে গত সোমবারই তাঁরা দিল্লি গিয়েছিলেন। ফিরছিলেন সেখান থেকেই।

আরও পড়ুন:

Advertisement

এও সম্ভব! তিন শিশু সন্তানকে খুন করল বাবা

ত্রিপুরায় সাংবাদিক খুনে গ্রেফতার টিএসআর কমান্ড্যান্ট

মঙ্গলবার রাতে ট্রেন ধরেছিলেন বাড়ি ফিরবেন বলে। কেই ফিরবেন রাজস্থান, তো কেউ বা মহারাষ্ট্র। মথুরা অবধি সব ঠিক ছিল। তার পরই নাকি ট্রেনটিকে ভুল সিগনাল দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে, ১৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ট্রেন পৌঁছয় ভুল ঠিকানায়। মহাবীর পাতিল নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘রাজস্থানের কোটা যাব বলে গত মঙ্গলবার রাত ১০ টায় ট্রেনে চেপেছিলাম। সকালে উঠে দেখি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের কাছে বানমোর স্টেশনে। রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এমনটা হল।’’ যদিও রেলের তরফে এই ঘটনার কোনও সদুত্তর মেলেনি।

দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য ২০০ জন মহিলা-সহ প্রায় ১৫০০ জন কৃষকের জন্য মহারাষ্ট্রের কোলাপুর থেকে ট্রেনটি বুক করেছিল একটি কৃষক সংগঠন। ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আস্ত ওই ট্রেনটি বুক করা হয়েছিল। এক যাত্রীর কথায়, ‘‘চালককে জি়জ্ঞাসা করে জানতে পারি মথুরা স্টেশনে ভুল সিগনালের কারণেই এমনটাই হয়েছে। আগামিকাল সকালের আগে আর বাড়ি ফেরা হবে না।’’

আনন্দবাজার পত্রিকার তরফে কোটা, আগ্রা এবং বিলাসপুরের ডিআরএম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা জানান, এই ধরণের কোনও ঘটনার কথা তাঁদের জানা নেই। পরে উত্তর-মধ্য রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিষয়টি জেনে আনন্দবাজারকে জানাবেন বলেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি আর কোনও উত্তর দেননি, ফোনও তোলেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন