ওড়িশা এবং অন্ধ্রের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বুধবার রাতেই হাওড়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হল। এ দিন একাধিক ট্রেন বাতিল করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ট্রেনকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
রেল সূত্রে খবর, এ দিন রাত ১০টার পর থেকে পূর্ব উপকূল রেলের এলাকাভুক্ত ওড়িশার খুরদা রোড এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরের মধ্যে ৩৬২ কিলোমিটার পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে বলে রেল সূত্রে খবর। হাওড়া থেকে দক্ষিণমুখী ট্রেনগুলির পাশাপাশি হায়দরাবাদ এবং বিশাখাপত্তনম থেকে হাওড়ার দিকে আসা ট্রেনগুলিকেও পূর্ব উপকূল রেল এলাকায় ঢোকার আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়ার দিকের বেশ কয়েকটি ট্রেনকে খড়গপুর, ঝাড়সুগুদা, নাগপুর হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিন হাওড়া শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এসি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। ভাগলপুর-যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস, শিলচর-তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেসের যাত্রা হাওড়ায় বাতিল করা হয়। হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, আগরতলা-বেঙ্গালুরু ক্যান্টনমেন্ট হামসফর এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশোবন্তপুর এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেনকে খড়গপুর-নাগপুর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া-চেন্নাই মেল এবং শালিমার-নাগেরকয়েল গুরুদেব এক্সপ্রেসের যাত্রাও পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিন সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, নিউ কমপ্লেক্সের ডিসপ্লে বোর্ডের দিকে দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা হাঁ করে তাকিয়ে আছেন। হাওড়া-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের ট্রেনের যাত্রা কয়েক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা হাওড়া-চেন্নাই মেলের যাত্রীদের। রেল সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।