কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর (এনএসডিসি) বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ত্রিপুরায় শুরু হওয়ার আগেই, নির্মাণ শিল্পে শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করে দিল রাজ্য প্রশাসন। রাজমিস্ত্রির প্রশিক্ষণের জন্য ত্রিপুরা সরকারের গ্রামোন্নয়ন দফতর উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের অধীনে থাকা খুমলুঙে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
‘কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের’ অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক জানান, বিজ্ঞানসম্মত পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে হাতেকলমে শিক্ষা দিতে ২০১৫ সালে চালু হয়েছে উন্নতমানের ‘ম্যাশন’ বা রাজমিস্ত্রি তৈরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। দু’টি পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে। দু’টিতেই ৬০ জন করে ছাত্র রয়েছেন। তিন মাসের পাঠ্যক্রম। শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই উপজাতি সম্প্রদায়ের। পঞ্চম শ্রেণির পরই প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে।
প্রশিক্ষিত রাজমিস্ত্রি তৈরির কারণ কী? তিনি জানান, রাজ্যে নির্মাণশিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটছে। উন্নতমানের রাজমিস্ত্রির অভাবে রাজ্যের বাইরে থেকে তাঁদের নিয়ে আসতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ নির্মাণ-শ্রমিকরা আসছেন ত্রিপুরায়। অথচ এ রাজ্যে উপজাতি সম্প্রদায়ের অনেক বেকার তরুণ-তরুণী রয়েছেন, যাঁরা নির্মাণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে চান। কিন্তু উপযুক্ত শিক্ষা বা অভিজ্ঞতার অভাবে বড় নির্মাণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন না।