শাহ বানো থেকে সায়রা বানো। মাঝে তিন দশকের যাত্রা। রাজীব গাঁধী যা পারেননি, নরেন্দ্র মোদী তা করে দেখালেন। সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাক প্রথা খারিজের পরে মোদীকে নিয়ে এটাই এখন বিজেপির নতুন জয়গান।
তিন তালাকের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে উত্তরপ্রদেশের ভোটের সময় থেকেই সরব মোদী। বিজেপির দাবি, তিন তালাক নিয়ে মোদী সরকারের অবস্থানের জন্যই তাদের ভোট দিয়েছেন মুসলিমদের একাংশ। আজ রায় প্রকাশিত হতেই বিজেপির মন্ত্রী-নেতারা দাবি করেন, এই রায় মোদীর ‘নতুন ভারত’-এর দিকে পদক্ষেপ। আর মোদীর কাছে এই রায় ‘‘ঐতিহাসিক, মুসলিম মহিলাদের সাম্য ও মহিলা ক্ষমতায়নের পক্ষে জোরদার পদক্ষেপ।’’
শাহ বানো আশির দশকে তালাকের পরেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে খোরপোশ পেয়েছিলেন। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের চাপের মুখে তখন রাজীব গাঁধী সরকার সংসদে আইন পাশ করিয়ে পাল্টে দিয়েছিল রায়। সায়রা বানো তিন তালাকের শিকার হয়ে প্রথম সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সেই মামলার ভিত্তিতেই আজকের রায়। শাহ বানো রাজীবের ‘ব্যর্থতা’র মুখ, আর সায়রা বানো মোদীর ‘সাফল্যের মুখ’—এটাই বিজেপির নতুন প্রচার। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী রাজীব গাঁধী নন।’’
রাহুল গাঁধী টুইটারে বলেছেন, ‘‘সুবিচার পেতে লড়েছেন মহিলারা। তাঁদের অভিনন্দন।’’ কিন্তু শাহ বানো নিয়ে বিজেপির প্রচার কংগ্রেসের কাছে অস্বস্তির। তিন তালাক মামলায় কৌঁসুলি হিসেবে কপিল সিব্বল ও সলমন খুরশিদের ভূমিকাও অস্বস্তি বাড়িয়েছে। শাহ বানো প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সেটি সেই সময়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী সংসদের সিদ্ধান্ত।’’