Tripura

হাসপাতালে বাজপেয়ীর মূর্তি স্থাপনা নিয়ে বিতর্কে ত্রিপুরার মন্ত্রী

সুদীপের দাবি, হাসপাতাল সুপারের থেকে অনুমতি নিয়েই এই কাজ শুরু হয়েছিল। রাজ্যপাল রমেশ বাইস এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:০৮
Share:

সুদীপ রায় বর্মন। ফাইল চিত্র।

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি স্থাপন নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।

বাজপেয়ীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অটলবিহারী বাজপেয়ী রিজিওনাল ক্যানসার হাসপাতালে তাঁর মূর্তি স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছিলেন সুদীপ। হাসপাতাল চত্বরে মূর্তি স্থাপনার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার। কিন্তু হাসপাতালের সুপার বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানালে মূর্তিস্থাপনার কাজে জড়িত তিন কর্মীকে আটক করা হয়।

সুদীপের দাবি, হাসপাতাল সুপারের থেকে অনুমতি নিয়েই এই কাজ শুরু হয়েছিল। রাজ্যপাল রমেশ বাইস এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যসচিব সুমিত রায়চৌধুরী পাল্টা অভিযোগ তোলেন, সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরে গিয়েই এ কাজ করেছেন সুদীপ। এ বিষয়ে তাঁকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উদ্যোগটা ভাল হলেও সরকারের অনুমতি ছাড়া এ ভাবে কোনও মূর্তিস্থাপনার কাজ করা যায় না কোনও সরকারি জমিতে। প্রসঙ্গত, সুদীপ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রতেই অটলবিহারী বাজপেয়ী রিজিওনাল ক্যানসার হাসপাতালটি গড়ে উঠেছিল।

সংবাদমাধ্যমে সুদীপ বলেন, “এক জন বিধায়ক এবং হাসপাতাল কল্যাণ সমিতির এক জন সদস্য হিসেবে বাজপেয়ীজির জন্মবার্ষিকীতে তাঁর মূর্তি উন্মোচনের মধ্য দিয়েই তাঁকে স্মরণ করার আয়োজন করেছিলাম। আমার আশা রাজনৈতিক মতকে দূরে রেখে দল বিষয়টি নিয়ে পাশে দাঁড়াবে। কারণ এতে কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল না।”

সুদীপের অভিযোগ, এ কাজের জন্য আরও তিন বিধায়ককে নিয়ে হাসপাতল সুপারের সঙ্গে গত ১৯ ডিসেম্বর দেখা করে ২৫ ডিসেম্বর মূর্তিস্থাপনার অনুমতি নেন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পর দিনই সুপার জানান, বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দলে বিপ্লব দেবের বিরোধী বলেই পরিচিত সুদীপ। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিপ্লবের নেতৃত্বে অখুশি সুদীপ-সহ আরও কয়েক জন বিধায়ক। ১০ বিধায়ক এবং বেশ কয়কজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন