Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee: অভিষেক মামলায় কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে ত্রিপুরা পুলিশ

আবেদনকারী সুবল ভৌমিক অভিযোগ করেছেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর ও বাকি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

বিপ্লব দেবের পুলিশ আজ বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল ত্রিপুরা হাই কোর্টে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের বেশ কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে খোয়াই থানার পুলিশ। তার অন্যতম অভিযুক্ত সুবল ভৌমিক মামলাটি খারিজ করার আর্জি জানিয়েছেন হাই কোর্টে। তারই শুনানি ছিল আজ।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত কোভিড বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তৃণমূলের ১৪ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা নিয়ে। গ্রেফতারের স্থান তেলিয়ামুড়া থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে খোয়াই থানায় আটক রাখা হয়েছিল তাঁদের। পর দিন, গত ৮ অগস্ট সকালেই সেখানে পৌঁছে যান অভিষেক, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষরা। কেন ওই ১৪ জনকে আটকে রাখা হয়েছে, জানতে চান তাঁরা। তাঁদের ছাড়িয়ে নিতে থানায় দীর্ঘ সময় ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় মামলা করে পুলিশ।

সেই মামলা খারিজের আর্জি নিয়ে শুনানিতে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আকিল আব্দুল হামিদ কুরেশি আজ প্রশ্ন তোলেন, কোভিড বিধি লঙ্ঘন জামিনযোগ্য অপরাধ। ফলে ওই ১৪ জনকে যেখানে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানেই কেন জামিন দেওয়া হল না? কেন তাঁদের অন্য থানা এলাকা থেকে খোয়াই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? অন্য থানায় নেওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েছিল কি পুলিশ? অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থশঙ্কর দে যুক্তি দেন, তেলিয়ামুড়া থানায় ধৃতরা জামিননামা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাই, তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। সেখানে তাঁদের রাখলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারত। যদিও প্রধান বিচারপতি তাতে সন্তুষ্ট হননি। তিনি এ-ও জানতে চান, তেলিয়ামুড়ার
ঘটনা ও খোয়াইয়ে অভিষেকরা যে সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন, তার কোনও প্রমাণ কি রয়েছে প্রশাসনের কাছে? অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, দু’টি ঘটনারই ভিডিয়ো রেকর্ডিং রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সেই ভিডিয়ো এবং দু’টি ঘটনার সব নথিপত্র হাই কোর্টে জমা দিতে বলেছেন।

Advertisement

আবেদনকারী সুবল ভৌমিক অভিযোগ করেছেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর ও বাকি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। জামিনযোগ্য ধারায় নথিভুক্ত মামলাতেও ১৪ জন তৃণমূল কর্মীকে জামিন দেয়নি খোয়াই থানার পুলিশ। এর পিছনেও রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন সিদ্ধার্থ লুথরা এবং মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব।

দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে বেআইনি কাজ করেছে পুলিশ। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাঁর নির্দেশ, মামলা খারিজের আর্জির নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত পুলিশ যেন তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা না-দেয়। পরের শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন