অসম সচিবালয়ে ক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। অসম সচিবালয়ের কর্মীদের তা-ই কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে বলে মনে করেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। এ বার ওই সংক্রান্ত নির্দেশ জারির আশঙ্কা ছড়িয়েছে সচিবালয়ে। তা নিয়ে ছড়িয়েছে ক্ষোভও। তবে আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাজের সময়ে কোনও বদল করা হচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৬ ০৩:২৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। অসম সচিবালয়ের কর্মীদের তা-ই কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে বলে মনে করেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। এ বার ওই সংক্রান্ত নির্দেশ জারির আশঙ্কা ছড়িয়েছে সচিবালয়ে। তা নিয়ে ছড়িয়েছে ক্ষোভও। তবে আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাজের সময়ে কোনও বদল করা হচ্ছে না।

Advertisement

৩ জুন বিধানসভা অধিবেশনের পর নিজের দফতরে প্রথম দিন গিয়েই সর্বানন্দ কর্মসংস্কৃতি বাড়ানোর উপরে জোর দেন। পরে সচিবালয়ের আমলাদের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি ঘোষণা করেন, কাজে ফাঁকি দেওয়া চলবে না। অবিলম্বে জমে থাকা ফাইলগুলির কাজ শেষ করতে হবে। লালফিতের ফাঁস থেকে মুক্তি দিতে হবে মানুষকে।

নরেন্দ্র মোদীকে কর্মনিষ্ঠার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে সর্বানন্দ জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি ১৮ ঘণ্টা মানুষের সেবায় কাজ করতে পারেন, তবে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদেরও তা অনুসরণ করা উচিত। সরকারি কর্মীদের দিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১০ ঘণ্টা কাজ করার নির্দেশ প্রথমে সচিবালয় থেকে কার্যকর করা হবে।

Advertisement

কিন্তু সেই নির্দেশিকা জারি হওয়ার কথা ছড়াতেই সচিবালয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। আজ সচিবালয় কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাসব কলিতা বলেন, অফিস ম্যানুয়াল অনুযায়ী তাঁদের ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ করার কথা। শ্রম আইনের নিয়মও বলে, ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো চলবে না। এখন কর্মসংস্কৃতির দোহাই দিয়ে এ ভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, সরকারি ভাবে মুখ্যমন্ত্রী তেমন কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন