Gulermak and Kanpur Metro Controversy

ভারত-পাক উত্তেজনার মাঝে ৮০ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই ‘ফেরার’ তুরস্কের সংস্থা! মাথায় হাত কানপুর মেট্রো কর্তৃপক্ষের

ভারতীয় সংস্থা ‘স্যাম ইন্ডিয়া’ এবং তুরস্কের নির্মাণ সংস্থা ‘গুলেরমাক’-কে যৌথ ভাবে কানপুর মেট্রো প্রকল্পের কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। নিজের অধীনে আরও ৫৩টি সাবলেট ফার্মকে কাজ দিয়েছিল তুরস্কের ওই সংস্থা। কিন্তু কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেও এখনও ঠিকাদারদের মোটা অঙ্কের পাওনা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১৭:৩৮
Share:

— ফাইল চিত্র।

ভারত-পাক উত্তেজনার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ৮০ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই ফেরার হয়ে গেল কানপুর মেট্রো প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করা তুরস্কের সংস্থা! অভিযোগ এমনটাই। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, তুরস্কের ওই ঠিকাদারি সংস্থার নাম ‘গুলেরমাক’। অভিযোগ, ঠিকা-কর্মীদের বেতন বাবদ প্রায় ৮০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখেই শহর ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংস্থা ‘স্যাম ইন্ডিয়া’ এবং তুরস্কের নির্মাণ সংস্থা ‘গুলেরমাক’-কে যৌথ ভাবে কানপুর মেট্রো প্রকল্পের কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। নিজের অধীনে আরও ৫৩টি সাবলেট ফার্মকে কাজ দিয়েছিল তুরস্কের ওই সংস্থা। কিন্তু কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেও এখনও ঠিকাদারদের মোটা অঙ্কের পাওনা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ। ঠিকাদারদের আরও অভিযোগ, তুরস্কের ওই সংস্থা গত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে ৫৩টি ঠিকাসংস্থার পাওনা মেটায়নি। অন্য দিকে, সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছিল তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে। সেই আবহে ঠিকাদারদের বেতন না দিয়েই ‘গুলেরমাক’-এর সব শীর্ষ কর্মকর্তা শহর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁরা। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে কানপুর মেট্রো কর্তৃপক্ষের।

অভিযোগ, ঠিকাদারেরা এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ইউপিএমআরসি)-র ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষমেশ ন’জন ঠিকাদার সোমবার দুপুরে জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই টাকা দেওয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে ‘গুলেরমাক’।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মেট্রো মার্বেল’-এর ৩.৭০ কোটি টাকা, ‘রেডিয়েন্ট সার্ভিসেস’-এর ১.২০ কোটি টাকা, ‘শ্রেয়াংশ ইনফ্রাটেক’-এর ১.৭০ কোটি টাকা, ‘এস ইন্টেরিয়র’-এর ৭৪.৮০ লক্ষ টাকা, ‘এমডি এহসান পেইন্টার’-এর ৩৯.৮০ লক্ষ টাকা, ‘বিনোদ গুপ্ত এন্টারপ্রাইজ’-এর ৮.৫৪ লক্ষ টাকা, ‘নন্দন প্রিফ্যাব’-এর ২৯.৫০ লক্ষ টাকা এবং ‘শ্রী বালাজি এন্টারপ্রাইজ’-এর ২১.৫০ লক্ষ টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে ‘রেডিয়েন্ট ফার্ম’-এর ঠিকাদার গজেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সংস্থাগুলিকে মাত্র ৫০ শতাংশ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। বাকি টাকা না দিয়েই ওঁরা শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’’ ইউপিএমআরসি-র যুগ্ম জনসংযোগ আধিকারিক পঞ্চানন মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গুলেরম্যাক’ ও অন্য এক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কানপুরের এক নম্বর করিডোরের চারটি স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার পর মেট্রো ‘গুলেরমাক’কে চুক্তিমতো সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করেছিল। তবে মোট চুক্তির টাকার ৫ শতাংশ মেট্রোর কাছে জমা রয়েছে, যা চুক্তিমতো এক বছর পরে দেওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে যদি ওই সংস্থা তার অধীনস্থ ঠিকাদারদের টাকা না দেয়, তা হলে মেট্রোকেই ওই অর্থ প্রদান করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement