অরুণাচল বিধানসভায় কংগ্রেস এক থেকে তিন হল। তবে তা মাত্রই কয়েক দিনের জন্য। খুব শীঘ্রই আবার কংগ্রেস ওই একেই নেমে আসবে বলেই জানা গিয়েছে।
এক বছর আগে অরুণাচলের দুই কংগ্রেস বিধায়ক—ওয়াংলাম সাওইন ও গ্যাব্রিয়েল ডি ওয়াংসুর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন তৎকালীন স্পিকার নাবাম রিবিয়া। মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকির বিরোধিতা করার কারণেই কৌশলে তাঁদের ইস্তফা পত্র আদায় করে নেন স্পিকার। মামলা করেন ওই দুই বিধায়ক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বর্তমান স্পিকার। এতদিনে ওই বিধায়কদের পদ ফিরিয়ে দিলেন স্পিকার। ফলে ৫৯ সদস্যের বিধানসভায় নাবাম টুকি-সহ কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াল তিন। অবশ্য টুকি বিরোধী শিবিরের ওয়াংলাম ও গ্যাব্রিয়েল অনতিবিলম্বেই শাসকদল পিপিএতে যোগ দিতে চলেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চরমে ওঠে প্রদেশ কংগ্রেসে। তখনই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শক্তি কমাতে তৎকালীন স্পিকার তথা টুকির তুতো-ভাই নাবাম রিবিয়া ঘোষণা করেন পূর্ব খোনসার বিধায়ক ওয়াংলাম ও কানুবাড়ির বিধায়ক গ্যাব্রিয়েল তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু ওই দুই বিধায়ক সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নৈশ ভোজের পরে তাঁদের ও আরও অনেক বিধায়ককে দিয়ে সাদা স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে রাখা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, আস্থা ভোট হলে এ হল কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোর প্রক্রিয়া। কিন্তু পরে ওই স্ট্যাম্প পেপারই তাঁদের পদত্যাগ পত্র হিসেবে তৈরি করে নেন রিবিয়া, তা সরকারিভাবে গ্রহণও করে নেন। ওই ঘটনার পরে রাজ্যে বিধানসভা ভাঙে। মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। রাষ্ট্রপতি শাসনের পরে রাজ্যে পিপিএ সরকার গড়া হয়। পরে দু’মাসের কংগ্রেস শাসনের পরে ফের পিপিএ সরকার আসে অরুণাচলে। কিন্তু দুই বিধায়কের আসন খালি বলেই ধরা ছিল। ইতিমধ্যে ২৪ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, বিধায়কদের পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন। স্পিকার তেনজিং নোরবু থন্ডোক দুই বিধায়কের নামে থাকা পদত্যাগ পত্র দু’টি বাতিল করে দেন। তিনি জানান, দু’জনের ভাষ্য নেওয়ার পরে ও সব দিক বিবেচনা করে ওই নকল পদত্যাগ পত্র বাতিল বলে গণ্য করা হচ্ছে। তাঁরা আগের মতোই বেতন ও সব সুযোগ পাবেন।