সাইকেল সফরে আর্থার, সাইমন পাউলিং। হাইলাকান্দিতে। - অমিত দাস
ভারতে নোট-সঙ্কটের আঁচ গায়ে মাখতে নারাজ ভূ-পর্যটক দুই ফরাসি ভাই।
সাইকেলে নিশ্চিন্তে এ দেশের অলিগলিতে ঘুরছেন আর্থার, সাইমন পাউলিং। হাইলাকান্দি, কাটলিছড়া, জামিরা, রামনাথপুর ঘুরে গত কাল তাঁরা পৌঁছন মিজোরামের ভৈরবীতে। সে রাজ্য সফরের পর দু’জনে যাবেন মণিপুর, নাগাল্যান্ড। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কাটাবেন শিলিগুডি়তে।
গত কাল সকালে হাইলাকান্দিতে বসে সাইমনরা জানালেন তাঁদের সফরের কথা। ফ্রান্সের অ্যানজার্স শহরে তাঁদের বাড়ি। মা-বাবা, দুই ভাইয়ের সংসার। বড় ভাই সাইমন বেশি দূর পড়াশোনা করেননি। আর্থার ইঞ্জিনিয়ার। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর শখ। সাইকেলেই বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। এ বছর জানুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু হয়। ইস্তাম্বুল, তুরস্ক, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজাকস্তান, কিরঘিস্তান ঘুরে তাঁরা পৌঁছন আফগানিস্তান। সেখান থেকে বিমানে ভারতের শ্রীনগর। সঙ্গে একটি সাইকেল ছিল। এ দেশে পৌঁছনোর পর আরও একটি সাইকেল কেনেন। ৪ মাস ধরে দুই ভাই ঘুরছেন ভারতে। হিমাচলপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড। কয়েক দিনের গিয়েছিলেন নেপালেও। তার পর দু’জনে পৌঁছন মেঘালয়।
উত্তর-পূর্বে ঘোরার সময়ই নরেন্দ্র মোদী সরকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে। সাইমনরা জানান, সেই সময় তাঁরা ছিলেন শিলংয়ে। সেই শহরের একটি ব্যাঙ্কে বিদেশি মুদ্রা ভাঙিয়ে ২ হাজার টাকা হাতে পান। তাতেই খুশি তাঁরা। পাউলিংয়ের কথায়, ‘‘আমরা হিসেব করে খরচ করি। ওই টাকায় তা-ই দিব্যি চলে যাচ্ছে। ডাল, ভাত, সবজি খেয়ে পেটও ভরে যাচ্ছে।’’ সাইমনরা জানান, ফ্রান্সেও নরেন্দ্র মোদীর পরিচিতি রয়েছে। যুবসমাজের অনেকেই তাঁর কথা জানেন।