প্রতীকী ছবি।
মাঝ আকাশে ঝগড়া করে বিমানের ককপিট ছেড়ে চলে এসেছিলেন দুই চালকই। বছরের প্রথম দিনের ওই ঘটনায় দু’জনকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করল জেট এয়ারওয়েজ। মঙ্গলবার বিমান সংস্থার এক মুখপাত্র এই কথা জানিয়েছেন।
বিমানে সে দিনের কম্যান্ডার ছিলেন এক মহিলা চালক। সহ-চালক ছিলেন তাঁর সিনিয়র এক পুরুষ। এই ঘটনায় সহ-চালকের লাইসেন্স বাতিল করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। যার ফলে আর কখনও চালকের আসনে বসতে পারবেন না তিনি। সাধারণ যাত্রীদের মতোই তাঁকে বিমানে চড়তে হবে। ডিজিসিএ-র এক কর্তার কথায় ‘‘যাত্রীদের প্রাণ বিপন্ন করে এ ভাবে আসন ছেড়ে চালকের উঠে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তদন্তে জানা গিয়েছে, সে দিন দুই চালকই একাধিক বার ককপিট খালি রেখে বেরিয়ে আসেন। এ ক্ষেত্রে তাই সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হয়েছে।’’
ঘটনার দিন জেট এয়ারওয়েজের ওই বিমানটি লন্ডন থেকে মুম্বই ফিরছিল। বিমান যখন ইরানের বায়ুসীমার কাছে, হঠাৎই ওই মহিলা কাঁদতে কাঁদতে আসন ছেড়ে উঠে আসেন। কথা কাটাকাটির জেরে সহ-চালকের বিরুদ্ধে চড় মারার অভিযোগ করেন তিনি।সাফ জানান, এ ভাবে কাজ করতে পারবেন না। এর পরেই ককপিট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সহ-চালক। মাঝ আকাশে বিমান তখন চালকশূন্য! বিমান সেবিকাদের অনুরোধে বিষয়টি তখনকার মতো মিটিয়ে নিয়ে ফিরে যান দু’জনেই। বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই চালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছিল বিমান কর্তৃপক্ষ। এ বার চাকরি থেকে তাঁদের বরখাস্ত করল জেট এয়ারওয়েজ।
এখন প্রশ্ন, ডিজিসিএ কেন শুধু সহ-চালকের লাইসেন্স বাতিল করল? এক কর্তার কথায়, সে দিন মহিলা চালক যখন বেরিয়ে আসেন তখন সহ-চালক ককপিটেই ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী অন্তত এক জন চালককে ককপিটে থাকতেই হবে। ফলে সহ-চালকের লাইসেন্স বাতিল হলেও মহিলা চালকের হয়নি।