মাওবাদীদমন অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনী। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলায় মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন নিরাপত্তাবাহিনীর দুই জওয়ান। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন আরও এক জন। তাঁকে উদ্ধার করে পালামুর মেদনিরাই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ছত্তীসগঢ় এবং ঝাড়খণ্ডে ধারাবাহিক ভাবে মাওবাদীদমন অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। বুধবার পালামুর মানাতু থানা এলাকার কেদল গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে মাওবাদীদের গতিবিধি দেখা গিয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় স্থানীয় পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই বেশি রাতের দিকে মাওবাদী দমন অভিযানে নামেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১২টা থেকে অভিযান শুরু হয়। ওই অভিযান চলাকালীন মাওবাদীদের গুলিতে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান পালামুর ডিআইজি নওশাদ আলম।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ সংগঠন তৃতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি (টিএসপিসি)-র সদস্যেরা আত্মগোপন করেছিলেন কেদলের জঙ্গলে। সিপিআই (মাওবাদ)-এর থেকেই তৈরি হয়েছে এই সংগঠনটি। তবে দুই জওয়ানের মৃত্যু এবং এক জনের জখম হওয়ার তথ্য ছাড়া ওই অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনও পুলিশের তরফে জানানো হয়নি। গত মাসে ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এক অভিযান চালিয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী। ওই অভিযানে মাওবাদীদের (পিএলএফআই) এরিয়া কমান্ডার মার্টিন কেরকেটার মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর মাথার দাম ছিল ১৫ লক্ষ টাকা।
আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বার বার এই লক্ষ্যের কথা স্পষ্ট করেছেন। এই আবহে বিভিন্ন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চলছে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর অদূরে পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকাতেও সাম্প্রতিক সময়ে অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত জুন মাসে পুরুলিয়ার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলা খরসঁওয়া জেলার গোবরগোটা জঙ্গল থেকে মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে সিআরপিএফ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের যৌথ অভিযানে।