ছাত্র-সংঘর্ষ, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খুন ২

দুই বিরোধী ছাত্র-গোষ্ঠীর স‌ংঘর্ষে‌ শনিবার রাতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খুন হলেন দু’জন। এঁদের মধ্যে এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র মেহতাব। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মহম্মদ ওয়াকিফ নামে আরও এক জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আলিগড় শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৪
Share:

দুই বিরোধী ছাত্র-গোষ্ঠীর স‌ংঘর্ষে‌ শনিবার রাতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খুন হলেন দু’জন। এঁদের মধ্যে এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র মেহতাব। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মহম্মদ ওয়াকিফ নামে আরও এক জন। আজ তাঁরও মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র‌্যাফ) নামানো হয়।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, কিছু দিন ধরেই উত্তরপ্রদেশের আজমগড় ও সম্ভল এলাকার ছাত্রদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গত কাল রাতের বিবাদের সূত্রপাত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই। পুলিশ সূত্রের খবর, মুমতাজ হস্টেলের এক আবাসিকের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের কাছে নালিশ জানাতে যান। খবর ছড়িয়ে পড়ায়, দুই বিরোধী পক্ষের ছাত্ররা ক্যাম্পাসে জড়ো হন। শুরু হয় গোলাগুলি। ওই আধিকারিকের দফতরের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন মেহতাব। দু’পক্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেও চলে তাণ্ডব। একটি জিপ ও প্রায় হাফ ডজন মোটরবাইক পোড়ানো হয়। ওই আধিকারিকের দফতরেও আগুন লাগানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল আজ। পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ হাজারের বেশি। গত কালের ঘটনার জেরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ছিল থমথমে। তবে র‌্যাফের পাহারায় পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই হয়। ওয়াকিফ এই পরীক্ষা দিতেই এসেছিলেন আলিগড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাছেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জামির উদ্দিন শাহ বলেন, এই সংঘর্ষে জড়িত বেশির ভাগ ছাত্র হয় প্রাক্তন, নয় বহিষ্কৃত। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাঁর সন্দেহ, এরা বেশির ভাগই হস্টেলে বেআইনি ভাবে ঘর দখল করে রেখেছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ ও র‌্যাফের সাহায্যে হস্টেল থেকে দখলদারদের বার করার জন্য অভিযান চালাবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন