প্রতীকী ছবি।
দু’বছরের একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার পর তাকে গলা টিপে খুন করল ১২ বছরের এক বালক। বুধবার দুপুরে গ্রেটার নয়ডায় একটি মন্দিরের কাছ থেকে পুলিশ ওই শিশুকন্যার দেহটি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির মুখ, ঘাড় ও পিঠে কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। নষ্ট হয়েছে শিশুটির ডান চোখটিও। পুলিশের অনুমান, শিশুটিকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।
খুনের মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত বালকটিকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে অভিযুক্ত বালকটি জানিয়েছে, নয়ডা এক্সটেনশনের ওই গ্রামে প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে মেয়েটি যখন খেলছিল, তখন সে তাকে কাছের একটি মন্দিরের সামনে একটি পরিত্যক্ত মাঠে নিয়ে যায়। সেখানেই শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই বালক। তাতে মেয়েটি কান্না জুড়ে দিলে প্রতিবেশীরা সব কিছু জেনে যাবেন ভেবে বালকটি ভয় পেয়ে যায়। মেয়েটিকে থামাতে তাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে বালকটি। শেষে মেয়েটিকে গলা টিপে মেরে ফেলা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষনের প্রমাণ মেলেনি।
আরও পড়ুন- ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজ্যের তরুণ আইপিএস
আরও পড়ুন- মূক ও বধিরকে ধর্ষণ
গ্রেটার নয়ডার বিসরাখ পুলিশ স্টেশনের এসএইচও অখিলেশ ত্রিপাঠি বলেছেন, ‘‘ওই গ্রামে পুলিশ বাহিনী গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খোঁজখবর নিয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, খেলার সময় মেয়েটিকে মন্দিরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত বালকটি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই মেয়েটি আর অভিযুক্ত বালকের বাড়ি একই গ্রামে। মেয়েটির বাবা দিনমজুর। আর অভিযুক্ত বালকটির বাবা রংয়ের মিস্ত্রি। ১২ বছরের বালকটি সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফির সাইট দেখত।