National News

রাজ্যপাল-উদ্ধব বৈঠক, মহারাষ্ট্রে কারা মন্ত্রী হবেন? শরদের সঙ্গে আলোচনায় কংগ্রেস

শরদের বাড়িতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রস্তাবিত নাম নিয়েও আলোচনা হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৭
Share:

জোটের সঙ্ঘবদ্ধ ছবিটা আরও স্পষ্ট হলেও ছন্নছাড়া বিজেপি শিবির।

রাজ্যপালের আমন্ত্রণ মেলার পর সরকার গঠনে তৎপরতা বেড়েছে মহারাষ্ট্রের তিন দলীয় জোটে। বিধানসভায় শপথ গ্রহণের মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করলেন উদ্ধব ঠাকর। অন্য দিকে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম বাছাইয়ের বিষয়ে তৎপর হল কংগ্রেস। এরই মাঝে চলছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উদ্ধব ঠাকরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অতিথি আমন্ত্রণের কাজও।

Advertisement

বুধবার সকালে বিধানসভায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাঝেই রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর সঙ্গে দেখা করেন সস্ত্রীক উদ্ধব ঠাকরে। রাজভবনের ওই বৈঠককে সৌজন্যমূলক বলে জানানো হয়েছে। যদিও তাতে সরকার গঠন করা নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়েছে বলে রাজনৈতিক পরযবেক্ষকদের ধারণা।

আগামিকাল, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে উদ্ধবের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। তাতে কাদের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। তবে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, ওই তালিকা থেকে চূড়ান্ত ভাবে অতিথিদের নাম বাছাই করবেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। এ দিন দুপুরে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করবেন কংগ্রেস নেতারা। তবে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, আগামিকালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমন্ত্রণপত্র যাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নামেও। তবে আগামিকালের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বা রাহুল গাঁধী উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: যেন কিছুই হয়নি! বিধানসভায় দাদা অজিতকে জড়িয়ে ধরলেন শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া

আরও পড়ুন: ‘বসন্ত আসতে দাও, নতুন সৌরভ নিয়ে ফিরব’, টুইট দেবেন্দ্রের স্ত্রী অমৃতার

শরদের বাড়িতে এ দিন পৌঁছন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং আহমেদ পটেল। শরদের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রস্তাবিত নাম নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল, উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন এনসিপির জয়ন্ত পাটিল ও কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট। তবে থোরাট বলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’ দফতর বণ্টন নিয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থোরাট। তবে স্পিকারের পদ নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাব নমনীয় হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও তার পরিবর্তে কংগ্রেস থেকে ৯ জনকে পূর্ণমন্ত্রী এবং ৪ জনকে রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে বলে আপাতত স্থির হয়েছে।

আরও পড়ুন: কালও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ সাধারণ বিধায়ক হিসাবে শপথ ফডণবীসের

আরও পড়ুন: শরদ-জয়ে ‘চাণক্য’ অমিতের দর্পচূর্ণ

সরকার গঠনের তৎপরতার মধ্যেই শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সঙ্ঘবদ্ধ ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিধানসভায় শপথ গ্রহণের আগে শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন দিন কয়েক আগে বিজেপি শিবিরে হাত মেলানো এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। শনিবার ফডণবীসের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার গত কাল দুপুরে আচমকাই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এ দিন বিধায়ক হিসাবে শপথের পর অজিত বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’ জোট-শিবিরে ফিরলেও তাঁকে নিয়ে এনসিপি যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেবেন বলেও মন্তব্য করেছেন অজিত। এ দিন মুম্বইয়ে এনসিপি বিধায়কদের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ছগন ভুজবল, পরিষদীয় নেতা জয়ন্ত পাটিল, দিলীপ পাটিল-সহ দলের শীর্ষ নেতা।

জোট-শিবিরে সরকার গড়ার তৎপরটা বাড়লেও বিজেপি শিবিরে যেন ছন্নছাড়া অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েও আস্থাভোটের আগে ইস্তফা দেওয়া বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসের স্বীকারোক্তি, অজিত পওয়ারের হাত ধরাটাই একটা ভুল। তিনি বলেন, ‘‘চিন্তা করবেন না, সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলব।’’ তবে সেই সঠিক সময় কখন আসবে, তা খোলসা করেননি ফডণবীস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন