University Grants Commission

পাঠ্যসূচিতে নতুন বিষয়: স্নাতকে বেদাঙ্গ-আয়ুর্বেদ

গত ডিসেম্বরে এর খসড়া প্রকাশ থেকেই বিতর্কের শুরু। শিক্ষকেরা কী ভাবে আইকেএস-এ থাকা বিষয়গুলি পড়াবেন, এর মধ্যে তা নিয়ে তাঁদের তালিমের নির্দেশিকাও প্রকাশ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেমকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিল ইউজিসি। —ফাইল চিত্র।

জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসারী বিতর্কিত ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম বা আইকেএস-কে এ বার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিল ইউজিসি।

Advertisement

গত ডিসেম্বরে এর খসড়া প্রকাশ থেকেই বিতর্কের শুরু। শিক্ষকেরা কী ভাবে আইকেএস-এ থাকা বিষয়গুলি পড়াবেন, এর মধ্যে তা নিয়ে তাঁদের তালিমের নির্দেশিকাও প্রকাশ হয়। এ বার পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ এল। বিরোধীদের মতে, ঐতিহ্য চর্চার নামে বিজেপি সরকারের উগ্র হিন্দুত্বের উন্মাদনার জন্ম দেওয়াই এর লক্ষ্য।

পাঠ্যসূচিতে আইকেএস অন্তর্ভুক্তির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, অঙ্কশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞান, কারিগরিবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র-সহ সব কিছুর সঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটানো হবে। যেমন, বৈদিক যুগ থেকে শুরু হবে বর্তমান গণিত পাঠ্যক্রম। তাতে শুল্বসূত্রের উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। অথবা জৈব রসায়ন, জৈব পদার্থবিদ্যার সঙ্গে আয়ুর্বেদের বিভিন্ন দিক, গণিতের সঙ্গে বেদাঙ্গ জ্যোতিষ পড়াতে হবে।

Advertisement

বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের আইকেএস-এর বিষয়গুলি পড়তে উৎসাহিত করতে হবে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে মোট ক্রেডিটের ৫% যেন আইকেএস-এর বিষয়গুলি থেকে পড়ুয়ারা নেন। স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের আইকেএস-এর উপরে একটি ‘ফাউন্ডেশন কোর্স’ করানোর কথাও বলা হয়েছে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আয়ুর্বেদ, যোগ, সিদ্ধ ইত্যাদি পড়তে হবে। এই বিষয়গুলির উপর গবেষণার জন্য আর্থিক অনুদানও দেওয়া হবে। এই সব কোর্স ভারতীয় ভাষায় পড়ানো বাঞ্ছনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

একে উগ্র হিন্দুত্বের সৃষ্টি করে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র বলে সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্করের অভিযোগ, ‘‘একটি সুতো যেমন একটি মালার সব ফুলকে গেঁথে রাখে, তেমনি জাতীয় শিক্ষানীতির ওই সুতো হল আইকেএস। সমগ্র শিক্ষানীতির মূল ফোকাস এটি।’’ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েবকুটা) সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বিজ্ঞানের সঙ্গে অবিজ্ঞানের সমন্বয় কাম্য নয়। গণিতের মধ্যে জ্যোতিষ চর্চা মিশলে তো ভ্রান্ত জ্ঞানের প্রসার ঘটবে। সমাজে কুসংস্কার, বিদ্বেষ ও বিভেদ সৃষ্টি হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন