দাউদ ইব্রাহিম। —ফাইল চিত্র।
দাউদ ইব্রাহিমের ব্রিটেনের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল সে দেশের সরকার। ব্রিটিশ সরকারের অর্থ দফতর থেকে গত মাসে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির সর্বশেষ যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দাউদের সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত দাউদের মোট ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও সে দেশে থাকা দাউদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পরে ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তে দাউদ সাম্রাজ্যে বড় ধাক্কা লাগল বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রকের।
বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, গত দু’বছর ধরে ধারাবাহিক দৌত্যের পরে অবশেষে ফল পাওয়া গেল। গোটা বিষয়টিকে ভারতের কূটনৈতিক জয় বলেই দেখাতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন একটি নথি সঙ্গে নিয়ে। সেখানে ব্রিটেনে এই ডনের সম্পত্তির বিস্তারিত তালিকা দেওয়া ছিল। তথ্য-সহ দেখানো হয়েছিল, লন্ডনের সেন্ট জন উডস রোডের একটি বিশাল বাড়িতে রয়েছে একটা বড় মাপের গ্যারাজ। যেখান থেকে দাউদের সঙ্গীরা বিভিন্ন অপারেশন চালায়৷ এ ছাড়াও হারবার্ট রোড, রিচমন্ড রোড, ডার্টফোর্ড হোটেল, টমসউড রোড, রোহেম্পটন হাই স্ট্রিট, ল্যান্সিলট রোড, থারটন রোড, ব়্যামফোর্ড এক্সেস, বুশ গার্ডেন, গ্রেট সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, রোহেম্পটন হাই স্ট্রিট, উডস হাউস এবং রিচমন্ড রোডে দাউদের সম্পত্তির খোঁজ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, গত দু’বছরে বারবার এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে ভারত এবং ব্রিটেনের। এ ব্যাপারে চাপও বাড়ানো হয়েছে।
ফোর্বসের সমীক্ষায় দাউদ ইব্রাহিম বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্যাংস্টার। দাউদের মোট ৬৭০ কোটি মার্কিন ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৪২,৮৭০ কোটি টাকার) সম্পত্তি রয়েছে। বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশে ছড়ানো তার ব্যবসা। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার বহু দেশ। শুধুমাত্র ব্রিটেনেই হোটেল-সহ তার বিভিন্ন সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৮৮০ কোটি টাকা)। বিভিন্ন দেশে ছড়ানো পঞ্চাশটিরও বেশি ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে দাউদের।
এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ বলেন, ‘‘কিছু পদক্ষেপ হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।’’