বাঙালি গণ-সমাবেশ রুখতে অবরোধের ডাক

বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের দাবি, শাসক দল বিজেপির ‘প্রত্যক্ষ মদতে’ বাঙালি সংগঠনগুলি একজোট হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩২
Share:

বাঙালিদের গণ-সমাবেশ রুখতে তারা প্রয়োজনে অসম জুড়ে অবরোধ করবে আলফা। প্রতীকী ছবি।

অধিকার রক্ষার দাবিতে বাঙালি সংগঠনগুলি গণ-সমাবেশ ডাকায় চিন্তিত কংগ্রেস। প্রতিবাদ করছে আসু এবং অন্যান্য দল-সংগঠন। আলফার দাবি, ১৭ নভেম্বর বাঙালিদের গণ-সমাবেশ রুখতে তারা প্রয়োজনে অসম জুড়ে অবরোধ করবে। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী পাশ করা, বাঙালিদের ডি-ভোটার সাজিয়ে ‘হেনস্থা’ এবং এনআরসি থেকে বাঙালিদের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়ার অভিযোগ এনে ২৬টি বাঙালি সংগঠন একজোট হয়ে ১৭ নভেম্বর গুয়াহাটির খানাপাড়ায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

Advertisement

বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের দাবি, শাসক দল বিজেপির ‘প্রত্যক্ষ মদতে’ বাঙালি সংগঠনগুলি একজোট হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের সমাবেশ সংঘাতের সৃষ্টি করতে পারে। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী পাশ হলে এনআরসি অর্থহীন হয়ে যাবে।”

ক্ষুব্ধ আলফা ওই দিন পাল্টা সভা ডেকেছে। তারা মঙ্গলবার হুমকি দেয়, ১৭ নভেম্বর গুয়াহাটির সর্বত্র অবরোধ করে সমাবেশে মানুষের আসা রুখবে।

Advertisement

আসু উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, “শুধু অসম নয়, উত্তর-পূর্বের ২৮টি সংগঠন একত্রে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরোধিতা করছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করা হলে অসম চুক্তি ও এনআরসি প্রক্রিয়া অর্থহীন হয়ে যাবে।”

বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া অসম গণ পরিষদের ভূমিকার সমালোচনা করেন। অগপ বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্ত অবশ্য জানান, বিল পাশ হলেই অগপ বিজেপি-র সঙ্গে মিত্রতা ছিন্ন করবে। অগপ বিধায়ক পবীন্দ্র ডেকা বলেন, “বিজেপি অসমকে হিন্দু বাংলাদেশিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া পরিকল্পনা করছে।” বিজেপি অবশ্য অভিযোগ মানেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন