Covishield

‘ভারতের প্রতিষেধক’ নিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রেসিডেন্টও

গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৬তম সাধারণ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা শাহিদ জানালেন, তিনি কোভিশিল্ডেরই দু’টি ডোজ় নিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভারতের কোভিশিল্ড প্রতিষেধককে ব্রিটেন মান্যতা দিলেও সে দেশে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য দশ দিন বিচ্ছিন্নবাসের শর্ত এখনও তোলেনি। ব্রিটিশদের জন্য পাল্টা বিচ্ছিন্নবাসের শর্ত চাপিয়েছে ভারতও। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৬তম সাধারণ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা শাহিদ জানালেন, তিনি কোভিশিল্ডেরই দু’টি ডোজ় নিয়েছেন।

Advertisement

কোভিডের যে কোনও প্রতিষেধকেরই মান্যতা পাওয়া উচিত কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে মলদ্বীপের এই রাজনীতিক বলেন, ‘‘আমি ভারতের কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ় নিয়েছি। কোভিশিল্ড গ্রহণযোগ্য কি না, সে সম্পর্কে বিভিন্ন দেশ কী বলবে জানি না। বড় সংখ্যক দেশ এই টিকা ব্যবহার করেছে। আমি বেঁচে গিয়েছি। তবে মূল প্রশ্নটার উত্তর এমন কেউ বরং দিন, যিনি চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত।’’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের কোউইন পোর্টালের দেওয়া শংসাপত্রের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে ব্রিটেনের। যে সব দেশকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকাও ক্রমাগত পর্যালোচনা করছে বরিস জনসন প্রশাসন। গত কাল ভারতের কড়া পদক্ষেপের পরেও ব্রিটিশ হাই কমিশন জানিয়েছে, শংসাপত্রের মান্যতার বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে তারা একযোগে কাজ করছে। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া যদিও মনে করেন, ভারতের টিকাকরণ নিয়ে ব্রিটেনের পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক। এক আলোচনাচক্রে তিনি বলেন, ‘‘কোভিশিল্ড টিকার গবেষণা হয়েছে ব্রিটেনে। সিরাম ইনস্টিটিউট তা তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে। অতিমারির আগে থেকে তারা টিকা বানাচ্ছে। বিশ্বের মোট টিকার ৬০ শতাংশই ভারতে তৈরি হচ্ছে। তা-ও বাজারে আসার পরে ওই টিকা ওঁদের (ব্রিটেনের) ছাড়পত্র পায়নি। এটা ভুল। টিকা কূটনীতির বিষয়টিই দুর্ভাগ্যজনক। অতিমারিকে হারাতে হলে সমবেত চেষ্টা প্রয়োজন।’’

Advertisement

সমবেত প্রয়াসে জোর দিয়েছেন সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালাও। ব্রিটেনের কড়াকড়ি প্রসঙ্গে তিনি এক বলেছেন, ‘‘সার্বিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্ত দেশকে অনুরোধ, একসঙ্গে কাজ করে পরস্পরের পক্ষে গ্রহণযোগ্য একটি চুক্তি তৈরি করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়া প্রতিষেধকগুলি দিয়ে যে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে, তার শংসাপত্রকে অন্তত মান্যতা দিতে পারি আমরা।’’
সারা ভারতে এখনও পর্যন্ত ৯০ কোটিরও বেশি করোনার টিকার ডোজ় দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া জানান। গুলেরিয়া বলেছেন, এ বছরেই সমস্ত ভারতবাসী টিকার অন্তত একটি ডোজ় পেয়ে যাবেন। তাঁর মতে, টিকার দ্বিতীয় ডোজ়টিই বুস্টার ডোজ়ের মতো কাজ করে। তার বাইরেও এখনই (বাড়তি) বুস্টার ডোজ় দিতে হবে, কোনও তথ্য এমন কথা বলছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন