প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে আফ্রিকার দেশগুলির অভিযোগ নিয়ে এ বার সংসদের ভিতরে ও বাইরে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল মোদী সরকার। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজে কড়া জবাব দিলেন সংসদে। ময়দানে নামালেন মন্ত্রকের দুই প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ এবং এম জে আকবরকেও।
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত অফ্রিকার দেশগুলির রাষ্টদূতেরা গত সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের কাছে নালিশ জানানোর হুমকি দেন। তাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জে যাওয়ার আগেই আজ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধি (ডিন)-কে সাউথ ব্লকে ডেকে আশ্বস্ত করেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ। বলেন, এই একতরফা দোষারোপে ভারত হতাশ ও মর্মাহত।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আফ্রিকার দেশগুলির গত সোমবার ভারতীয়দের বিরুদ্ধে জাতি-বিদ্বেষের অভিযোগ এতটাই উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়েছিল যে কোমর বেঁধে এর মোকাবিলা না করলে আরও কোণঠাসা হতে হতো ভারতকে। কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ অবশ্য মনে করছেন, জবাব দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা দেরি করে ফেলেছে কেন্দ্র।
সুষমা এ দিন লোকসভায় বলেন, ‘‘অভিযোগ আনা হয়েছে যে গ্রেটার নয়ডা-কাণ্ডের পরে সরকার তৎপর হয়নি। অথচ আমি নিজে তৎক্ষণাৎ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করার কথা বলি। ওই কাণ্ডে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ সুষমার বক্তব্য, ‘‘সব কিছুর মধ্যে জাতিবিদ্বেষকে টেনে আনা ঠিক নয়। মোজাম্বিকে যখন এক ভারতীয় নিহত হন, আমরা কিন্তু বলিনি তা জাতিবিদ্বেষের কারণে ঘটেছে।’’
সুষমাই জানান, আফ্রিকার ডিনকে সাউথ ব্লকে ডেকে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ। তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, আফ্রিকার সমস্ত নাগরিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে ভারত যত্নবান। ভারত এই ব্যাপারে যে যে পদক্ষেপ করেছে, সেগুলিকে কোনও ভাবেই খাটো করা যায় না। সুষমার কথায়, ‘‘ভারতে যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেও থাকে তার বিচার করার জন্য ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠান কি কিছু কম রয়েছে?’’