কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সায় দিয়েছিল দু’সপ্তাহ আগে। আর বছরের শেষ কাজের দিনে লোকসভায় জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল পাঠ্যসূচিতে সময়োপযোগী সংস্কার না হওয়ারও। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৯২তম রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি খসড়া বিলেও এমসিআই-এর ভূমিকার নিন্দা করা হয়। বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষায় চলা দুর্নীতির জন্য দায়ী করা হয় এমসিআই-কেই। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন এমসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি কেতন দেশাই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বিলে তাই মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়াকে ঢেলে সেজে সব দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের হাতে। ওই কমিশনের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে মেডিক্যাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল। এই পরিষদের কাজ হবে রাজ্যগুলির বক্তব্য কমিশনের কাছে উপস্থিত করা। জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন গড়া হবে চারটি স্বশাসিত বোর্ড নিয়ে, যারা মেডিক্যাল শিক্ষার বিভিন্ন দিক— স্নাতক, স্নাতকোত্তর, মূল্যায়ন ও মান নির্ধারণ করবে। নতুন বিলে চার বছরের পড়া শেষে চিকিৎসকদের শংসাপত্র পেতে একটি সর্বভারতীয় পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছে। এনইইটি-র ওই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে ভর্তির সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা।