Piyush Goyal

চাপের মুখে মন্তব্য প্রত্যাহার, ‘বিহার বানা দে’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন পীযূষ গয়াল

মঙ্গলবার আরডেজি সাংসদ মনোজ ঝায়ের বক্তৃতা চলাকালীন পীযূষ বলে ওঠেন, এরা পারলে দেশকেই বিহার বানিয়ে ফেলে! তা নিয়েই তুমুল হইচই পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মন্তব্য প্রত্যাহার করলেন পীযূষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২০
Share:

ক্ষমা চেয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ফাইল ছবি।

শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সম্প্রতি সংসদে দাঁড়িয়ে বিহার নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মন্তব্যের পর থেকেই বিহারের আরজেডি ও জেডিইউ সাংসদরা মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে অনড় অবস্থান নেন। বেগতিক দেখে ক্ষমা চেয়ে বিবাদ মেটানোর পথেই হাঁটলেন আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা পীযূষ।

Advertisement

গোলমালের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা রাজ্যসভায় বলছিলেন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে। সেই সময়ই মনোজকে থামিয়ে দিয়ে পীযূষ রসিকতার সুরে বলে ওঠেন ‘‘ইনকা বস চলে তো দেশ কো বিহার বানা দে!’’ বাংলায় তর্জমা করলে যা দাঁড়ায়, এরা পারলে দেশকেই বিহার বানিয়ে ফেলেন! মনোজ সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন। জগদীপ ধনখড়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘স্যর, এটা বিহারকে অপমান। পীযূষজি, আমি আপনার সামনে জোড়হাত করে আবেদন করছি, আমার সম্পর্কে যা খুশি বলুন, কিন্তু দয়া করে বিহার নিয়ে কিছু বলবেন না।’’

বৃহস্পতিবারও পীযূষের মন্তব্য নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে সংসদ। দাবি ওঠে, ‘‘বিহারের কোনও অপমান মানব না। পীযূষ গয়াল ক্ষমা চাও।’’ এই ধ্বনিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিহারের সাংসদরা। তবে চুপ থাকার পথই নেন বিহারের বিজেপি সাংসদরা। তার পরেই চাপে পড়ে মনোজের দাবি মেনে নিয়ে একটি বিবৃতি দেন পীযূষ। তাতে ক্ষমা চেয়ে মন্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি। পীযূষ বলেন, ‘‘বিহার বা বিহারের বাসিন্দাদের অপমান করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কিন্তু তা-ও যদি আমার মন্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’’

Advertisement

এ দিকে পীযূষের মন্তব্য নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। পীযূষের মন্তব্যের ভিডিয়ো তুলে ধরে টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিহার ও বিহারবাসীকে কী ভাবে অপমান করছেন দেখুন এই বিবেকহীন এবং অহঙ্কারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আড়াই লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প যখন সেই মন্ত্রীর নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাতে চলে যায়, তখন একটি বাক্যও উচ্চারণ করতে পারেন না। এটাই দেখিয়ে দেয় এই ভদ্রলোকের মানসিকতা।’’

সাংসদ মনোজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়কেও চিঠি লিখে পীযূষের মন্তব্যকে রেকর্ডবুক থেকে মুছে দেওয়ার আবেদন করেন। তাতে তিনি লেখেন, পীযূষ গয়ালের মন্তব্য শুনেই বোঝা যায়, বিজেপির লোকেরা বিহারবাসীকে বরাবর ‘দ্বিতীয় শ্রেণি’র নাগরিক হিসাবেই দেখতে অভ্যস্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন