স্বচ্ছ ভারত মিশনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।- ফাইল থেকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বহুল প্রচারিত ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’-এর খুঁত ধরা পড়ল রাষ্ট্রপুঞ্জের পর্যবেক্ষকের চোখে। বলা হয়েছে, জল সরবরাহ ও নিকাশির ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভারত মিশন ‘মানবাধিকারের নীতি লঙ্ঘন করেছে’। নিকাশির হালের চেয়েও বেহাল দশা জল সরবরাহের। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষজ্ঞের ওই রিপোর্টকে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, ওই রিপোর্ট ‘আদ্যোপান্ত ভুলে ভরা, অতি সরলীকরণ ও পক্ষপাতদুষ্ট’।
টানা দু’সপ্তাহ ভারত সফরের পর তাঁর দেওয়া রিপোর্টে রাষ্ট্রপুঞ্জের জল ও নিকাশি বিষেশজ্ঞ লিও হেলার লিখেছেন, ‘‘পর্যাপ্ত পানীয় জল ও নিকাশির সুবিধা পাওয়াটা অন্যতম মানবাধিকার। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটার হাল ফেরানো যায় না। তাই দু’টিকে নিয়েই একটি প্যাকেজ হয়। কিন্তু স্বচ্ছ ভারত মিশনে নিকাশির হাল ফেরাতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, মানুষের ঘরে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে তত কিছু করা হয়নি।’’
শুধু তাই নয়, স্বচ্ছ ভারত মিশন তড়িঘড়ি সফল করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তারা যা করছেন বা যে সব নির্দেশ দিচ্ছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষজ্ঞের চোখে সেগুলিও ‘মানবতাবিরোধী’।
হেলার তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, ‘‘মিশন সফল করতে প্রশাসন জোরজবরদস্তি চালাচ্ছে। অত্যাচার চালাচ্ছে। বাড়িতে শৌচালয় না থাকলে রেশন কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ সব করতে গিয়ে ভুলে যাওয়া হচ্ছে নাগরিকদের ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার সরকারি দায়বদ্ধতার কথা। পানীয় জল পাওয়াটা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষজ্ঞের রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মিশনের লোগো ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গাঁধীর চশমা নিয়েও।
আরও পড়ুন- চিন-পাকিস্তানকে টক্কর দিতে অত্যাধুনিক ব্যাটল ট্যাঙ্ক আনছে ভারত
আরও পড়ুন- ছেলের খুনিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বাবা! কেন জানেন?
হেলার তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, ‘‘তিন বছর হতে চলল, এ বার ওই চশমার কাচ বদলানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সময় এসেছে ওই চশমায় মানবিক কাচ লাগানোর।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষজ্ঞের রিপোর্টের এই অংশের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি বিবৃতিতে।