শিবকুমার গ্রেফতারে উত্তপ্ত কর্নাটক

শিবকুমারের গ্রেফতারিকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ আখ্যা দিয়ে রাহুল গাঁধী আজ অভিযোগ এনেছেন, সিবিআই, ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থা এবং নরমসরম সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে একেক জন ব্যক্তিকে নিশানা করছে মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৪
Share:

ছবি: পিটিআই।

প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ডিকে শিবকুমারের গ্রেফতারিতে উত্তপ্ত কর্নাটক।

Advertisement

দুর্নীতির অভিযোগে শিবকুমারের গ্রেফতারিকে নরেন্দ্র মোদীর ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ আখ্যা দিয়ে কর্নাটক কংগ্রেস আজ জেলাভিত্তিক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। রামনগর, কনকপুরা, চেন্নাপাট্টানা, বিদাদির মতো শহরগুলিতে বনধ্ ডেকেছিলেন শিবকুমারের সমর্থকেরা। তাঁরা বন্ধ করে দেন দোকানপাট। কাল রাত থেকেই রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। আজও রাস্তা আটকে বিভিন্ন জায়গায় টায়ার পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। হাসন, মাণ্ড্য, কোলার, চিক্কাবাল্লাপুরা, বল্লারিতে বিক্ষোভ জোরালো হয়।

তবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া পড়েছে। নিজের রাজ্যে সিদ্দারামাইয়ার মতো নেতারাই পুরোপুরি ভাবে শিবকুমারের পাশে দাঁড়াননি। ফলে বিক্ষোভ হয়েছে বিচ্ছিন্ন ভাবে। শিবকুমারের এলাকায় রাজ্য পরিবহণের বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে গোটা রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীরা একই ভাবে রাস্তায় নামেননি। শিবকুমারের অনুগামী বি ভি শ্রীনিবাস যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তাই যুব কংগ্রেসও দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কর্নাটকের কিছু এলাকায় বিক্ষোভে যোগ দেন জেডিএস কর্মীরা। রামনগর জেলার কনকপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শিবকুমার। এর অনেকটাই বেঙ্গালুরু গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানকার সাংসদ শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ। বিক্ষোভের সম্ভাবনা বুঝে জেলা প্রশাসন আগে থেকেই স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছিল।

Advertisement

শিবকুমারের গ্রেফতারির পর কর্নাটকে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।

শিবকুমারের গ্রেফতারিকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ আখ্যা দিয়ে রাহুল গাঁধী আজ অভিযোগ এনেছেন, সিবিআই, ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থা এবং নরমসরম সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে একেক জন ব্যক্তিকে নিশানা করছে মোদী সরকার। এ দিন শিবকুমারের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। যেখানে কংগ্রেস নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ভারতে এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আইনের শাসনের থেকেও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।’’ দিল্লিতে বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসিংহ রাও অবশ্য প্রতিহিংসার রাজনীতির তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার অভিযোগ, গণেশ চতুর্থীতে শিবকুমারকে তাঁর বাবার জন্য পুজো করার সুযোগ না দিয়ে অমানবিক কাজ করেছে ইডি।

আজ দিল্লির আদালতে তোলা হয় শিবকুমারকে। ১৪ দিনের হেফাজতের আর্জি জানায় ইডি। শিবকুমারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির অভিযোগ, ইডির হেফাজতে তাঁর মক্কেলকে খেতে দেওয়া হয়নি। আদালত শিবকুমারকে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক অজয়কুমার কোহার বলেন, ‘‘হেফাজতে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন