যোগীর সামনে জোড়হাত, বিতর্কে পুলিশ

কটি ছবিতে আদিত্যনাথের কপালে তিলক কেটে দিচ্ছেন ওই অফিসার এবং তিন নম্বর ছবিটিতে মুখ্যমন্ত্রীকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। পরে যদিও ছবিগুলি সরিয়ে ফেলেন পরভীন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গোরক্ষপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:০২
Share:

এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক।

যোগী আদিত্যনাথের সামনে হাঁটু গেড়ে হাত জোড় করে বসে উর্দিধারী এক পুলিশ অফিসার। আশীর্বাদের ভঙ্গিতে তাঁর কপালে হাত ঠেকিয়ে রেখেছেন যোগী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের এই ছবি পোস্ট করে সমালোচনার মুখে পড়লেন পরভীন কুমার সিংহ নামে গোরক্ষপুরের ওই সার্কেল অফিসার।

Advertisement

গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে গত কাল গোরক্ষনাথ মন্দিরে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময়ে মন্দিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পরভীন কুমার। তখনই তোলা হয়েছিল ছবিগুলি। ফেসবুক পোস্টে পরভীন জানান, গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে যোগীর আশীর্বাদ নিচ্ছিলেন তিনি। কারণ, আদিত্যনাথ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই, গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিতও। তাঁর পোস্ট করা তিনটি ছবির একটিতে দেখা গিয়েছে, যোগীর সামনে ভক্তিভরে জোড়হাতে বসে আছেন পরভীন। অন্য একটি ছবিতে আদিত্যনাথের কপালে তিলক কেটে দিচ্ছেন ওই অফিসার এবং তিন নম্বর ছবিটিতে মুখ্যমন্ত্রীকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। পরে যদিও ছবিগুলি সরিয়ে ফেলেন পরভীন।

তবে তত ক্ষণে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েক জন প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশের উর্দিতে কি আদৌ এই কাজ করা ঠিক? আবার এক জনের বক্তব্য, ‘‘ওই পুলিশ অফিসার যদি কাজে ফাঁকি না দেন, তবে তো এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়াই উচিত না। আমাদের দেশে যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠান সূচনা করার আগে হিন্দু মতে প্রদীপ জ্বেলে শুরু হয়। তা হলে এখানে অন্যায়টা কোথায়?’’ পরভীন নিজেও জানিয়েছেন, কাজ শেষ করার পরেই যোগীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। ‘‘আমি বেল্ট, টুপি সব খুলে মোহন্ত যোগী আদিত্যনাথের আশীর্বাদ নিতে যাই। মাথা সাদা রুমালে ঢাকা ছিল। শার্ট ঘামে ভেজা ছিল। কাজে অবহেলা করলে তো তা হত না’’, যুক্তি ওই অফিসারের। তিনি জানিয়েছেন, গুরুপূর্ণিমা ও দশেরা, এই দুই
অনুষ্ঠানে গোরক্ষনাথ মন্দিরে গুরু হিসেবে পুজো করা হয় যোগীকে। পরভীনের কথায়, ‘‘আমি গুরুর কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন সততার সঙ্গে দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারি। বাবা গোরক্ষনাথের প্রতি আমার ভক্তি ছাড়া এটা অন্য কিছু না।’’ আইজি অমিতাভ ঠাকুর অবশ্য বলেছেন, ‘‘এই ঘটনাকে কেউ অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করতেই পারে। পুলিশের উচিত তাঁর উর্দির মর্যাদা বজায় রাখা।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন