ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
বার বার বাইশ বার! ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির দাবি কত বার করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সকৌতুকে তার গণনা করছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস! আজ যেমন এই বিষয়ে ফের মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ বেধে যেতে পারত! কিন্তু তিনি পরিস্থিতি সে দিকে গড়াতে দেননি। ব্যবসার কথা বলেই তিনি সংঘর্ষ থামান। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিরোধীরা এই নিয়ে ব্যঙ্গ করতেই পারেন। কিন্তু ভারত আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তির প্রথম পর্বে সিলমোহর লাগাতে যখন দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের একটি দল ওয়াশিংটনে পৌঁছে শুল্ক নিয়ে দরকষাকষি করছে আমেরিকার কর্তাদের সঙ্গে, তখন ট্রাম্পের এই আচরণ যথেষ্ট অস্বস্তিকর সাউথ ব্লকের কাছে।
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর মহাসচিব মার্ক রাটের সঙ্গে সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকের সময়েই বিভিন্ন সামরিক সংঘাত থামাতে আমেরিকার সাফল্যের কথা ব্যাখ্যা করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করতে আমরা খুবই সফল হয়েছি। এই যেমন ভারত এবং পাকিস্তান। যে ভাবে বিষয়টি এগোচ্ছিল, আরও এক সপ্তাহ (সংঘর্ষ চললে) ভারত এবং পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারত। পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল।” তাঁর দাবি, বাণিজ্যের কথা বলে দু’দেশের সংঘর্ষ থামিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “আমরা বলেছিলাম, আপনারা এ সব বন্ধ না করলে আপনাদের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কোনও কথা বলব না। তারা সে কথা শুনেছে। দু’দেশেই খুব ভাল নেতা রয়েছেন।”
গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও ফোনে কথা হয় ট্রাম্পের। প্রায় ৩৫ মিনিট কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। ওই ফোনালাপের পরে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ভারত কারও মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি। পাক-ভারতের সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা ইসলামাবাদের অনুরোধেই হয়েছে, সে কথাও ট্রাম্পকে জানান মোদী। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। মিস্রির এই বক্তব্যর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই একই দাবি করতে শোনা গিয়েছে ট্রাম্পকে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে