ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। এ বার করে দেখালেন।
রাজ্যের একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোপ মারলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই নেতা-নেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংহ যাদব, অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীও। তবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে প্রবীণ বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ারের। তিনি এ বার থেকে ‘জেড’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পাবেন।
শনিবার রাতে ভিআইপি-দের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন যোগী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি (হোম), এডিজি (গোয়েন্দা বিভাগ), এডি়জি (নিরাপত্তা) এবং রাজ্যের ডিজিপি সুলখান সিংহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ১ মে থেকে কোনও ভিআইপি গাড়ির মাথায় লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। মোদী বলেছিলেন, ‘‘সব ভারতীয়ই ভিআইপি। এই সংস্কৃতি আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল।’’ উত্তরপ্রদেশে এই ভিআইপি-বিরোধী সংস্কৃতিকেই যোগী আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যে মোট ১৫১ জন ভিআইপি সরকারি নিরাপত্তা পাচ্ছিলেন। তার মধ্যে ১০৫ জনের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাটছাঁট করা হয়েছে ৪৬ জনের নিরাপত্তায়। এই ৪৬-এর মধ্যে মুলায়ম, অখিলেশ, মায়াবতী ছাড়াও রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির (সপা) নেতা শিবপাল যাদব, রামগোপাল যাদব, ডিম্পল যাদব এবং আজম খান। আর যাঁদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ সতীশচন্দ্র মিশ্র, অলোক রঞ্জন, সপা নেতা আশু মালিক, অতুল প্রধান প্রমুখ।
আরও পড়ুুন:বিপন্ন বিজ্ঞান, বিজ্ঞানীর ঢল ৬০০ শহরে
সম্প্রতি একটি বৈঠকে যোগী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে শুধু মাত্র ‘স্টেটাস সিম্বল’-এর জন্য যাঁরা সরকারি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা সাধারণের মতো জীবনযাপন করার জন্য তৈরি হন। ভিআইপি-র নয়, নিরাপত্তা প্রয়োজন সাধারণ মানুষের।
কথা রাখলেন যোগী আদিত্যনাথ।