যোগী সরকারের সর্বশেষ নিদান, গো-কল্যাণ সেস।—ছবি পিটিআই
গরুর পাল ঘুরছে রাস্তাঘাটে। তাদের সামলাতে পকেটের কড়ি গুনতে হবে আমজনতাকে। মানুষের চেয়ে গরুর দাম আবারও বেশি বলেই দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশে।
যোগী সরকারের সর্বশেষ নিদান, গো-কল্যাণ সেস। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, গ্রাম শহরে ঘুরে বেড়ানো গরুর জন্য ছাউনি গড়ে তুলতে উৎপাদন শুল্কের উপরে বসবে ০.৫ শতাংশ সেস। অ্যালকোহল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী এর আওতায় আসবে। কিছু সড়কেও ওই পরিমাণ টোল ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মান্ডি পরিষদগুলি তাদের রোজগারের ১% গো-কল্যাণে দিয়ে থাকে। এখন থেকে তাদের রোজগারের ২% দিতে হবে এই খাতে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধীরা।
যোগী ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির গো-রাজনীতি চরম আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গরুর পাল ফসলের ক্ষতি করছে। তাদের আটকাতে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে চাষিদের। মাঠঘাট, রাস্তা থেকে গরু ধরে সরকারি স্কুলে বন্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি সামলাতে আলিগড়ের পুলিশ সুপার জেলার রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো গরুগুলিকে নিয়ে থানায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
এই পরিস্থিতিতেই গ্রাম-শহরে পরিত্যক্ত গরুদের আস্তানা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলায় এক হাজার গরুর রাখার ব্যবস্থা করতে চাইছে সরকার। এ জন্যই গো-কল্যাণ সেসের সিদ্ধান্ত। মায়াবতী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, ‘‘জাতীয় স্তরেও এমন সেস বসিয়ে দেখাক বিজেপি।’’ সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রাজেন্দ্র সিংহের মন্তব্য, ‘‘গো-রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সে জন্য টাকা খরচ তাদেরই করতে হবে।’’ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র অংশু অবস্তী বলেন, ‘‘গরুর নামে ভোট চাইছে বিজেপি। তাদের সরকারই বোঝা চাপাচ্ছে জনতার উপর।’’