Uttarakhand Panchayat election

আরে! আমি তো হেরেছি! ‘জয়ী’ বলে ঘোষিত প্রার্থীই জানালেন, বেশি ভোট পেয়েছেন ‘পরাজিত’

কয়েক দিন আগে উত্তরাখণ্ডে কয়েকটি পঞ্চায়েতে উপনির্বাচন ছিল। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পুষ্কর সিংহ ধামীর বিধানসভা কেন্দ্র চম্পাবতেও ভোট ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৫ ১৫:১৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ভোটের ফল ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস। কর্মীরা দলে দলে অভিনন্দন জানাতে আসছেন। স্বাভাবিক ভাবে প্রার্থীও আনন্দিত। কিন্তু খানিক ক্ষণ পরে জয়ী প্রার্থীই প্রথম ‘আবিষ্কার’ করলেন তিনি হেরেছেন। কিন্তু ভুল করে তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের ভুল শুধরে দিতে নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঘোষিত জয়ী প্রার্থী। কিন্তু সেখানে ফল না-মেলায় সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের (এসডিএম) কাছে পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে এসেছেন। ঘটনাস্থল উত্তরাখণ্ড।

Advertisement

কয়েক দিন আগে উত্তরাখণ্ডে কয়েকটি পঞ্চায়েতে উপনির্বাচন ছিল। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পুষ্কর সিংহ ধামীর বিধানসভা কেন্দ্র চম্পাবতেও ভোট ছিল। সেখানকার তারকুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ছিলেন কাজল বিস্ত। তাঁকে জয়ী ঘোষণা করে প্রশাসন। জয়ের শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয়। তার পরে ওই মহিলা প্রার্থী জানতে পারেন, ভোটে তিনি হেরেছেন। কিন্তু ভুল করেও ভুল ধরতে ধরতে পারেনি প্রশাসন।

কাজল দেখেন, তিনি ১০৩টি ভোট পেয়েছেন। তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য দিকে, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুমিত কুমার পেয়েছেন ১০৬টি ভোট। কম ভোট পেয়ে কী ভাবে জয়ী হলেন, মাথায় ঢুকছিল না কাজলের। তিনি ভুল শুধরে নিতে প্রশাসনকে আবেদন করেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ওই পঞ্চায়েত প্রার্থী বলেন, ‘‘নির্বাচনী আধিকারিকেরা তো দেখলেন না ব্যাপারটা। তাই এসডিএমের কাছে গিয়েছিলাম। উনি অবাক হয়ে গিয়েছেন।’’

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এসডিএম কাজলের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তিনি পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement