কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। -ফাইল চিত্র।
ছেলেরা তো মেয়েদের পিছনে ছুটেই থাকে!
হরিয়ানায় বর্ণিকা কুণ্ডুর ঘটনার পর এই ভাবেই বিতর্ক উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার রাতে বর্ণিকার গাড়ির পিছনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করেছিলেন হরিয়ানা বিজেপি সভাপতি সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশ ও তাঁর বন্ধু আশিস, দু’জনকেই বুধবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। নারী অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে।
বাবুল গতকালই টুইট করে বলেন, ‘‘আমি ঘটনাটাকে সমর্থন করছি না। কিন্তু এ আর এমন কী! আমরা তো কলেজে পড়েছি, ফিল্মও দেখেছি। ছেলেরা তো মেয়েদের পিছনে ছোটেই! জীবনে, ফিল্মেও। তাই না?’’
তার পর আরও একটি টুইটে বাবুল লেখেন, ‘‘আপনারা একটু যুক্তিসম্মত ভাবে ভাবুন। ছেলেরা তো মেয়েদের পিছনে ধাওয়া করেই। তার ওপর সে (পড়ুন, বিকাশ) আবার মদ্যপ ছিল। স্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু কোনও তদন্ত না করেই কেন তার (পড়ুন, বিকাশের) বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করা হচ্ছে?’’
আরও পড়ুন- বর্ণিকা: অবশেষে গ্রেফতার বিজেপি নেতার ছেলে
আরও পড়ুন- সেই রাতে বর্ণিকাকে ধাওয়া করেছিল বিকাশের গাড়ি, প্রমাণ দিচ্ছে সিসিটিভি
এর পর আসে বাবুলের আরও একটি টুইট। তাতে তিনি লেখেন, ‘‘কেন এই ঘটনায় শুধু শুধু ছেলেটির (বিকাশের) বাবার (হরিয়ানা বিজেপি সভাপতি সুভাষ বরালা) নাম তোলা হচ্ছে?’’
বর্ণিকা কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন একের পর এক টুইটে এই প্রশ্নটাই উসকে দিয়েছে, তা হলে কি বাবুল পরোক্ষে ঘটনাটিকে লঘু করে দেখাতে চাইছেন? আড়াল করতে চাইছেন হরিয়ানা বিজেপি’র সভাপতি সুভাষ বরালা ও তাঁর ছেলে বিকাশকে?
আরও পড়ুন- গুয়াহাটির গাঁধী মণ্ডপে গাঁধী মূর্তি সরানো নিয়ে বিতর্ক
শুধু বাবুলই নন, হরিয়ানা বিজেপি’র সহ সভাপতি রামভীর ভাট্টিও অত রাতে বর্ণিকার রাস্তায় ঘোরাঘুরি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন! রামভীরের কথায়, ‘‘মেয়েটিরও (বর্ণিকা) তো অত রাতে রাস্তায় বেরনো উচিত হয়নি। অত রাতে মেয়েটি রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছিল কেন? পরিবেশ তো ভাল নয়। নিজের নিরাপত্তার কথা তো নিজেকেই সবচেয়ে আগে ভাবতে হবে।’’