দলের চাপ ছিল। তবু এত দিন গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খোলেননি তিনি। কিন্তু রাজনীতির টানাপড়েনে সেই পুরনো অঙ্ক এ বার কিছুটা হলেও বদলে দিলেন বরুণ গাঁধী। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে দাঁড়িয়ে দাদা রাহুল গাঁধীকে নিশানা করলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হাতে পাঁচ মাসের বেতন তুলে দিয়েছেন সাংসদ বরুণ। এর পরেই উপস্থিত কৃষকদের সামনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আশপাশের সাংসদদের প্রশ্ন করুন, তাঁরা কত মাসের টাকা দিয়েছেন? দরকার হলে অমেঠির সাংসদকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন।’’
যে ভাবে রাহুল রোজ নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করছেন, দলের সব নেতাকেই তার জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। বরুণের উপরেও চাপ ছিল। তারই প্রকাশ হল শুক্রবার। এ দিন বরুণ ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কৌর রাহুলকে আক্রমণ করেন। বলেন, অমেঠিতে ফুড পার্ক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন রাহুল গাঁধী। মন্ত্রীর দাবি, গত বছরের জুলাই মাসেই ওই প্রকল্প বাতিল হয়ে গিয়েছিল। কারণ, সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছে। আর এই ভাবে সংসদে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস এনেছেন বিজেপির কিরীট সোমাইয়া।
তবে তিনি নিজে যে মানুষের থেকে বাড়তি সুবিধা চান না, তা প্রমাণ করতে আজ তৎপর ছিলেন রাহুল। মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির আদালতে হাজির হন তিনি। আরএসএসের এক কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ছাড় দিলেও বিচারব্যবস্থার সম্মানেই তিনি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন বলে দাবি করেন রাহুল।
সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরে এআইসিসি সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নামতে দলের নেতাদের নির্দেশ দেন।