বসুন্ধরা রাজে। —ফাইল চিত্র।
ঘরে বাইরে, দু’দিক থেকেই চাপ আসছিল। খানিকটা কোণঠাসা রাজস্থান সরকার বিতর্কিত রক্ষাকবচ বিলটি পাশ হওয়ার আগে সেটিকে বিধানসভারই সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিল।
আজ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী রাজেন্দ্র রাঠৌর স্পিকারকে জানান, গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে তাঁর মন্ত্রিসভার কিছু ঘনিষ্ঠ সদস্যের সঙ্গে এই বিল নিয়ে বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচন্দ্র কাটারিয়া বিতর্কিত বিলটি সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। বিধানসভার আগামী অধিবেশনে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি।
যদিও তাতেও থামানো যায়নি বিরোধীদের। কালকের মতো আজও বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস-সহ বাকি দলগুলি।
মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে যে দিন থেকে রক্ষাকবচ বিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন, বিরোধীরা প্রবল সমালোচনা শুরু করেছে। বিশেষ করে কংগ্রেস। এ নিয়ে আগেই অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। কিন্তু বিল পাশ হয়ে গেলে রাজ্যের মন্ত্রী, আমলা থেকে শুরু করে বর্তমান ও প্রাক্তন বিচারকরা বিশেষ রক্ষাকবচ পাবেন। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ এনে মামলা করতে গেলে নতুন বিল অনুযায়ী রাজস্থান সরকারের অনুমতি লাগবে। আর সেই অনুমতিও অন্তত ছ’মাসের আগে মিলবে না। এই সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও খবর প্রকাশ করতে পারবে না। করলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও সংস্থার সম্পাদকের দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
কংগ্রেস তো বটেই এই বিল পাশে উদ্যোগী হওয়ায় বসুন্ধরা সরকারের সমালোচনায় নেমেছেন বিজেপি বিধায়কেরাও। তাঁরা বারবার বলছেন যে, বিজেপি বরাবর জরুরি অবস্থার সমালোচনা করে এসেছে। এই বিল পাশ হলেও কিন্তু রাজ্যের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে। দল ও বাইরের সাঁড়াশি চাপে পড়ে বিলটি নিয়ে ফের ভাবনা-চিন্তার আশ্বাস দেন বসুন্ধরা। যদিও কালই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে পাশে পেয়েছেন তিনি। সরকারের পক্ষেই মত দিয়েছেন প্রসাদ।
আজ সকালে অধিবেশন শুরু হলেই হইচই শুরু করেন বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারিও। শুরুতেই স্পিকার তাঁর ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’ নাকচ করে দেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বক্তব্য পেশ করার যে সুযোগ স্পিকার করে দিয়েছিলেন, তা নিয়েও তাঁর আপত্তি জানান তিওয়ারি।