এ বার শুধু চিতাবাঘ মেরে খাওয়াই নয়, সে সবের ছবি ফেসবুকে দিল অসমের চড়াইদেও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর দাবি, অসম-অরুণাচলের বিতর্কিত সীমানায় থাকা গুজরাটিং এলাকায় অরুণাচলের বাসিন্দারা মৌপাখাট নামে গ্রাম তৈরি করেছে। সেখানে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ‘বেআইনি’ গ্রাম গড়ে ওঠার কথা জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর ও পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, সীমানা সমস্যা নিয়ে মামলা চলছে। রয়েছে স্থগিতাদেশ।
কী ঘটেছিল মৌপাখাটে?
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি চিতাবাঘ কয়েক দিন ধরেই সেখানে গবাদি পশু মারছিল। ৮ ডিসেম্বর অরুণাচলের গ্রামবাসীরা চিতাবাঘটিকে দেখতে পেয়ে তাড়া করে। ইট-পাথরের আঘাতে জখম চিতাবাঘ একটি ঝোপে আশ্রয় নেয়। ওই দিন চিতাবাঘটিকে মারতে না পারলেও পরে তাকে খুঁজে বের করে হত্যা করে গ্রামবাসীরা। তার মাংস কেটে খেয়ে ফেলা হয়।
ঘটনা বন দফতর জানতেই পারেনি। কিন্তু চিতাবাঘ মারা ও মাংস ছড়ানোর ছবি হোয়াট্সঅ্যাপ, ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়ার পরে বিষয়টি জানা গিয়েছে। শুরু হয় তদন্ত।
চিতাবাঘ খাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে শিবসাগরের কৈবর্তগ্রামে ৮ মাসের চিতাশাবককে মেরে খায় চা শ্রমিকদের একাংশ। ডিব্রুগড়-ডিমৌ সীমানায় বাপুথিগড় মুরারি গ্রামে চিতাবাঘ মেরে খায় চা শ্রমিকরা। বাক্সার গোরেশ্বরে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘকে মেরে তার মাংস কেটে গোটা গ্রামে বিলি করা হয়েছিল। বন দফতরের মতে, আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলি ও অরুণাচলের দিকে বন্যপ্রাণী ভক্ষণের ঘটনা বেশি ঘটছে। অতীতে অনেক বার হাতি, গন্ডার মেরে খাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
উদ্ধার বন্দুক, গুলি। পুলিশ এবং সিআরপি যৌথ অভিযান চালিয়ে দু’টি অবৈধ বন্দুক-সহ ১৮টি গুলি উদ্ধার করেছে। হাইলাকান্দি পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাতে বালিকান্দি প্রথমখণ্ডের একটি বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। বাড়ির বাসিন্দা আজিজুর রহমান ও বদরুল হককে গ্রেফতার করা হয়। হাইলাকান্দি থানার ওসি সুরজিৎ চৌধুরী জানান, ধৃতদের জেরা করে অনেক তথ্য মিলেছে।