প্রতীকী ছবি।
নববধূর ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ করার প্রথা রয়েছে মহারাষ্ট্রের কঞ্জরভট সম্প্রদায়ে। রাজ্য সরকার বুধবার জানিয়েছে, শতাব্দীপ্রাচীন এই প্রথা নিয়ে কেউ প্রশাসনের কাছে আপত্তি জানালে তা যৌন হেনস্থার অভিযোগ হিসেবে যাতে দেখা হয়, সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী রঞ্জিত পাটিল কঞ্জরভাট সম্প্রদায়ের এক দল যুবকের সঙ্গে কথা বলে তেমনই আশ্বাস দিয়েছেন।
যে সব ‘জাত-পঞ্চায়েত’ এই সব প্রথা রক্ষায় সক্রিয় বা সামাজিক ভাবে কাউকে একঘরে করার চেষ্টা করছে, তাদের ব্যাপারে জেলাওয়ারি তথ্য সংগ্রহ করবে পুলিশ। সম্প্রতি কঞ্জরভাট সম্প্রদায়ের কিছু যুবক পাটিলের কাছে যান। সেই বৈঠকে ছিলেন শিবসেনার মুখপাত্রও।
ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের সদস্য নীলম গোরে। তিনি বলেন, ‘‘নববধূর জন্য কুমারীত্ব পরীক্ষা যৌন হেনস্থারই নামান্তর। কোনও নির্যাতিতা যদি এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে চান, তা হলে তা যৌন হেনস্থার অভিযোগ হিসেবেই দেখা হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহিলাকে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্যও দেওয়া হবে।’’
কঞ্জরভাট সম্প্রদায়ের ওই যুবকেরা এই প্রথার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার চালাচ্ছিলেন বেশ কিছু দিন ধরে। এই প্রথায় নববধূকে বিয়ের দিনে কুমারীত্ব পরীক্ষা দিতে বলা হয় বলে অভিযোগ। ‘স্টপ দ্য ভি-রিচুয়াল’ নামে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। গত বছর ২৫ নভেম্বর একটি জাত-পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ওই দলের সিদ্ধান্ত দশরথ ইন্দ্রকর নামে ২১-এর এক যুবক। এর পর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির বিভিন্ন সদস্যের উপরে হামলা শুরু হয়। গত মাসেও কঞ্জরভাটের দুই শিক্ষিত দম্পতিকে এই প্রথা পালনে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি ইন্দ্রকরের।