KLO

KLO: হিমন্ত-জীবনের ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক

বৈঠক শেষে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ জানিয়েছেন, তিনি শান্তিচুক্তির জন্য চূড়ান্ত আলোচনায় অংশ নিতে দিল্লি আসতে তৈরি।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫০
Share:

মায়ানমারের গোপন ডেরায় জীবন সিংহ। নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্র ও কেএলও-র শান্তি আলোচনা কার্যত শুরু হয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, জীবন সিংহ, জীবন সিংহের ধর্মপুত্র দেবরাজ সিংহ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মধ্যে এক দফা ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক হল। বৈঠক শেষে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ জানিয়েছেন, তিনি শান্তিচুক্তির জন্য চূড়ান্ত আলোচনায় অংশ নিতে দিল্লি আসতে তৈরি। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, এই মাসেই তিনি ভারতে ঢুকতে পারেন।

Advertisement

দিবাকর দেবরাজ সিংহ জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টে ৩৮ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তর উদ্যোগে মায়ানমারে থাকা জীবনের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ১৯৪৯ সালের ‘মার্জার’ চুক্তির ভিত্তিতে আলোচনা ও মীমাংসার আশ্বাস দেওয়া হয় কেএলও-কে। যদিও সেই চুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকটি জেলার প্রসঙ্গ রয়েছে, কিন্তু এ দিন বাংলার কাউকে এই আলোচনায় আনা হয়নি।

জীবন সিংহও স্পষ্ট জানিয়েছেন, চুক্তি যে হেতু কোচ রাজার সঙ্গে ভারত সরকারের হয়েছিল, তাই শান্তি আলোচনাও সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গেই হবে। শান্তি চুক্তিও হবে ভারত সরকারের সঙ্গেই। জীবনপুত্র দেবরাজ জানান, ‘‘আজ আলোচনা ও চুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই বাবা দিল্লি পৌঁছাবেন। আলোচনা ও চুক্তির পর্বও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’’ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আলোচনা না করেই সেই রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সম্ভব, সেই প্রশ্নও থাকছে।

Advertisement

এই আলোচনায় আত্মসমর্পণ করা কেএলও নেতা টম অধিকারী, মালখান সিংহ, হর্ষবর্ধন, জীবনের বোন তথা কেএলও নেত্রী সুমিত্রা দাস ও তাঁর স্বামীর কী ভূমিকা হবে? দেবরাজ জানান, বাবার তরফে সকলকেই আলোচনায় নিমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আলোচনায় কী ভূমিকা হবে আক্রাসু ও অন্যান্য কোচ-রাজবংশী সংগঠনের? অসমে অবিভক্ত গোয়ালপাড়া নিয়ে তৈরি কমতাপুর স্বশাসিত পরিষদের ভবিষ্যতই বা কী?

অসম সরকারের তরফে জানানো হয়, আলোচনার ভিত্তিতে পরিষদের ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে। দেবরাজ জানিয়েছেন, আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে কেএলও। অন্য কোনও সংগঠনের সেখানে ভূমিকা নেই। এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে ফল ভয়ঙ্কর হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। দেবরাজ বলেন, “বাবাকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনা ও কোচ-কমতাপুর রাজ্য গঠন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন